শুভ্র মিশু॥
শিশুদের অন্ধততা রোধ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আগামী ১৮জুন রাঙামাটিতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে প্রায় ৮২ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬মাস থেকে ১১ মাস পর্যন্ত নয় হাজার ৩৫৫ জন ও ১২-৫৯মাস পর্যন্ত ৭১ হাজার ৮৩৯ শিশুকে ১হাজার ৩১৫কেন্দ্রে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সোমবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সাথে এক কর্মশালায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়। কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্টে তথ্য উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার আবু ফয়সাল ছোটন।
সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসার সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহম্মদ ও প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল।
জেলায় সবচেয়ে বেশি ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে লংগদু উপজেলায় ১৪হাজার শত ৭৪জন শিশু। বাঘাইছড়ি উপজেলায় ১৩হাজার ৮৪জন শিশু। আর শহরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০হাজার ৪শত ১৭জন শিশুকে। এছাড়াও বরকল, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, কাপ্তাই, কাউখালী, লংগদু, নানিয়াচর, রাজস্থলী, রাঙামাটি সদরের শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা।
সিভিল সার্জন বলেন, আগামী ১৮ জুন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও দুর্গম অঞ্চলে নির্ধারিত দিনেই বাচ্চাদের ক্যাপসুল খাওয়ানো সম্ভব হয় না। এজন্য সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে। তবে কেউ যাতে এই ক্যাম্পেইন থেকে বাদ না পড়ে সেদিকে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সাজেকে ডায়রিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে সেখানে মেডিকেল টিম কাজ করছে এবং ৩৯জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল তৈলাক্ত যার কারণে কারো বমি হলে এতে ভয়ের কিছু নাই। কারণ তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর অনেকের বমি হয়ে থাকে এবং কেউ যাতে কোন প্রকার গুজবে কান না দেন। অনেক ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল নিয়ে গুজব ছড়াই, এই গুজবে কান না দেওয়ার জন্য তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।