অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাঙামাটিতে ৫০ শয্যার হাইফ্লো অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। সম্প্রতি কোভিড-১৯ এর সমন্বয় সভায় এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সিভিল সার্জনের প্রতি সিনিয়র সচিব পবন চৌধুরীর নির্দেশনার পরপরই সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা পাঠায় জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরিত স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই প্রেক্ষিতে রাঙামাটিতে সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০ বেডের হাইফ্লো অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপনে জরুরিভিত্তিতে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে রাঙাামটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। এইজন্য প্রয়োজনীয় কর্মকান্ড দ্রæত সম্পাদনের জন্য সিভিল সার্জনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান এই নির্দেশনা দেন। সোমবার জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় চেয়ারম্যান আরো বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনা ভাইরাসকে মোকাবেলা করা সহজ হবে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নয়নে আগামী বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা হবে বলেও তিনি জানান।
পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই প্রæ চৌধুরী, পরিষদ সদস্য হাজী মুছা মাতব্বর, পরিষদ সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ, পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, পরিষদ সদস্য থোয়াই চিং মারমা, পরিষদ সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, পরিষদ সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়–য়া, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা এবং হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে হস্তান্তরিত বিভাগের মধ্যে শুধু স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা রাঙামাটি জেলার করোনা পরিস্থিতির ওপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ সভায় উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, রাঙামাটিতে সর্বশেষ করোনা পজিটিভ আছেন ৫১১জন। ইতোমধ্যে ৩৬৭জন সুস্থ হয়েছেন। সরকারিভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জনগণের সচেতনতার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য(অধিকাংশ পুলিশ), চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গ(ডাক্তার, নার্স), ব্যাংক, প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। রোগীদের চিকিৎসার জন্য সব রকমের সেবা হাসপাতালে চালু আছে। তিনি হাসপাতালের ৩তলায় কোভিড রোগীদের জন্য এবং দোতলায় নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা রাখা হবে বলে সভাকে অবহিত করেন। তিনি সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাইফ্লো অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপনে পরিষদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।