খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর ও পেরাছড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত ৭জনের মধ্যে ৪জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর দিকে পরিবারের কেউ না আসায় বাকী তিনটি লাশ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শনিবার(১৮ আগষ্ট) দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরমধ্যে শন কুমার চাকমা ও ধীরাজ কুমার চাকমার মরদেহ পানছড়িতে এবং জিতায়ন চাকমা ও রুপম চাকমার মরদেহ স্বণির্ভরের নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জিতায়ন চাকমার মরদেহ তাঁর স্ত্রী প্রভাতি চাকমা এবং রুপম চাকমার মরদেহ তার চাচা নয়ন চাকমা বুঝে নেন। অপর দিকে ধীরাজ চাকমার মরদেহ প্রতিবেশী আপ্রুইং মারমা এবং শন কুমার চাকমার চাকমার মরদেহ তার বড় ভোন কল্প লতা চাকমা পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নেন। চার মরদেহ রবিবার সকালে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্ব স্ব এলাকার স্থানীয় শ্বশ্মানে দাহ করার কথা রয়েছে।
অপর দিকে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের তিন নেতা তপন চাকমা, পলাশ চাকমা ও এলটন চাকমার পরিবারের কেউ না আসায় তাদের মরদেহগুলো খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি সাহাদাৎ হোসেন টিটো বলেন, ‘পুলিশী নিরাপত্তায় ৪জনের লাশ নিজ নিজ বাসায় পৌছে দেয়া হয়েছে। তবে তপন, পলাশ ও এলটনের পরিবারের কেউ এখনো না আসায় তাদের লাশ থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে সেখান থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে আগামী সোমবার খাগড়াছড়িতে আধাবেলা সড়ক অবরোধ ঘোষনা করা হয়ছে। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিকযুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।