৪৮ ঘন্টার হরতাল থমকে গেছে তাই ৯ ঘন্টাতেই ! পাহাড়ে ৪৮ ঘন্টার হরতাল আহ্বানকারি দুই সংগঠনের অন্যতম,পার্বত্য নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা আহ্বায়ক নূরজাহান বেগম, হরতাল স্থগিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, সকাল থেকে স্থানীয় প্রশাসন তার কর্মীদের ব্যাপক চাপে রাখার কারণে পিকেটিং করা কঠিন হয়ে পড়েছিলো,তবুও প্রশাসনের উপর আস্থা রেখে,তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ৪৮ ঘন্টার হরতাল আপাতত স্থগিত করা হলো। যদি হত্যাকারিদের গ্রেফতারসহ আমাদের দাবি মানা না হয়,তবে আবারো হরতাল পালিত হবে।’
এর আগে জেএসএস-ইউপিডিএফ’সহ পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা,১৬ এপ্রিল মহালছড়ি থেকে অপহৃত ৩ বাঙালির মুক্তি এবং ৪ মে রাঙামাটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মাইক্রোবাস চালক সজীবের হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ডাকে সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ৪৮ ঘন্টার হরতাল পালন শুরু হয় রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে। হরতালের সমর্থনে রাঙামাটি শহরের মানিকছড়ি এলাকায় পিকেটিং করেছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে হরতালে সব ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলো পুলিশ। শহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল দিতেও দেখা যাচ্ছে।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সত্যজিৎ বড়–য়া জানিয়েছেন, হরতালের কারণে সকাল থেকে কোথায়ও পিকেটিং কিংবা কোনও ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা লক্ষ্য করা যায়নি। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান ছিলো।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে দুবৃর্ত্তদের গুলিতে নিহত রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথিমধ্যে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর আহবায়ক তপন জ্যোতি চাকমাসহ জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়িবহরে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে মাইক্রোবাস চালক মো. সজিবসহ ৫ জন নিহত হয়। এতে আরও আটজন আহত হয়েছেন।
গত ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ির জেলার মহালছড়ির মাইসছড়ি এলাকায় কাঠ কিনতে গিয়ে অপহৃত হন মাটিরাঙা উপজেলার পিকআপভ্যান চালক বাহার মিয়া, কাঠ ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন ও মহরম আলী। তাদের এখনো কোন খোঁজ মেলেনি।
1 Comment
মশকারি মনে হয়..