বন্ধ দোকানপাট। আয়ের কোন পথ নেই। নির্ধারিত সময়ের বাইরে মেলেনা কিছু। অসহায় মানুষের কষ্ট যেন লাগামহীন। ঠিক একদল তরুণের ভাবনায় জায়গা করে নেয় অসহায়ত্বের এই চিত্র। ভাবতে থাকে দূর দুরান্ত থেকে আসা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মানুষের ইফতারের করার বিষয়টি।
সে চিন্তা থেকে তারা গ্রহন করে “৩০ টাকার ইফতার চ্যালেঞ্জ”র ভিন্নধর্মী উদ্যোগ। টানা ২৬দিন সফলতার সাথে চলেছে এ কর্মযজ্ঞ। গতকাল ছিল তার শেষ দিন। প্রতিদিন গড়ে ৭০জনকে চ্যালেঞ্জের আওতায় ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে খাগড়াছড়ির অনলাইনভিত্তিক রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন খাগড়াছড়ি ব্লাড ডোনারস এসোসিয়েশন।
এমন উদ্যোগে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে সংগঠনটি। ব্যক্তিগতভাবে যার যার অবস্থান থেকে তাদের পাশে থেকে উদ্যোগ সফল করেছেন স্থানীয়রা। অসহায় মানুষ ইফতার সামগ্রী পেয়ে খুশি।
জানা যায়, ৪র্থ রমজান থেকেই এমন উদ্যোগ গ্রহান করে সংগঠনটি। প্রথম দিকে শুধুমাত্র খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের রোগীর স্বজনদের ইফতার বিতরন করানো হলেও। মানুষের অব্যাহত সহযোগীতা পেয়ে বাড়ায় কাজের পরিধি। প্রতিদিন হাসপাতালে গড়ে ৩৫জনকে ইফতার সামগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়া একেক দিন শহরের এক একটি এলাকা নির্বাচন করে সেখানকার অসহায় মানুষের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খাগড়াছড়ি ব্লাড ডোনারস এসোসিয়েশন’র সাংগঠনিক সম্পাদক এনাম উদ্দিন বলেন, মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে কার্যক্রমটি আমরা শুরু করে। সময়ের সাথে সাথে আমাদের এই ইভেন্টটি নিয়ে মানুষ আগ্রহ বাড়ে। প্রতিদিন কেউ না কেউ ৩০ টাকার ইফতার চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে কাজটি বাস্তবায়নে সহজ করে দিয়েছে।
খাগড়াছড়ি ব্লাড ডোনারস এসোসিয়েশন’র সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমাদের সব সময় প্রচেষ্টা থাকে কিভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াবো। এমন মহামারিতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দ্বায়িত্ব। সে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে ইভেন্টটি আমরা শুরু করেছি। এবং ব্যাপক সারা পেয়েছি।
মানুষের এমন সহযোগিতার কারণে ভবিষ্যতে নতুন নতুন উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের পথ সহজ হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
খাগড়াছড়ি ব্লাড ডোনারস এসোসিয়েশন জেলায় স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত করার পাশাপাশি বিবিন্ন জনসচেতনমুলক কাজ করে আসছে।