
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ায় গরু ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন (৩৮) হত্যার জট খুলেছে পুলিশ। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে কাউখালী থানা পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিনজন হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। কাউখালীর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আটককৃতরা হলো- হত্যার নেতৃত্বদানকারী বেতবুনিয়া কালাকাজি পাড়ার সুইচাপ্রু মারমার ছেলে উচিং মং মারমা (৩০), তারই ছোট ভাই ¤্রাইচা অং মারমা (২৫), বেতবুনিয়া চৌধুরীপাড়া এলাকার পাইচা প্রু মারমার ছেলে চাইসিও মারমা মারমা (২৬)।
ওসি (তদন্ত) জানান, ‘ঘটনার দিন জয়নালকে মোবাইল ফোনে গরু কেনার কথা বলে পঁচিশ হাজার টাকা নিয়ে পাহাড়ে ডেকে নিয়ে যায় উচিমং মারমা। পরে তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপি হত্যা করে লাশ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মাটিতে পুতে রাখা হয়। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো ¤্রাইচা অং মারমা ও চাইসিও মারমা।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া অভিযান চালিয়ে তিনজন ও বুধবার আগস্ট কালাকাজি পাড়ায় অভিযান চালিয়ে একজনসহ মোট ৪ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন নিজেরা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করায় অপর সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
ওসি (তদন্ত) জানান, আটককৃতদের মধ্যে উচিমং মারমা ও চাইসিও মারমাকে বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ¤্রাইচাই মারমাকেও আদালতে প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১১ আগষ্ট সকালে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন বেতবুনিয়া ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত দুলা মিয়ার পুত্র গরু ব্যবসায়ী জয়নাল (৩৮)। নিখোঁজের একদিন পর ( আগষ্ট) বেলা ১২টায় উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া এলাকায় মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই জয়নালের পরিবার বাদী হয়ে কাউখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার চারদিনের মাথায় কাউখালী থানা পুলিশ হত্যা সাথে জড়িত ৩জনকে ও সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে।