শুভ্র মিশু
কাপ্তাই হ্রদের পানি কমায় আবারও ভেসে উঠল ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’খ্যাত পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতুটি। ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানির ঢলে হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেতুটি ডুবে যাওয়ার ২৩ দিনপর ভেসে উঠেছে। তবে ডুবন্ত ঝুলন্ত সেতু ভেসে উঠলেও এখনো পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করেনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পর্যটন করপোরেশনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই সেতুতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। তবে সেতুর পাটাতনসহ অন্যান্য মেরামত কাজ শেষে উন্মুক্ত করার কথা জানিয়েছে পর্যটন করপোরেশন।
সোমবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে থাকা সেতুটি ২৩ দিন পর হ্রদের পানি কমায় ভেসে উঠেছে। তবে সেতুতে চলাচলের নিষেধাজ্ঞার কথা শুনেও দূর-দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা পানি নেমে যাওয়ায় সেতুতে ছুঁটে আসছেন।
এদিকে সেতুকে ঘিরে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে পর্যটন এলাকার ভাসমান ব্যবসায়ীদের মাঝে। সেতুর দু’পাশেই ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে বিভিন্ন ফল বিক্রয় করছেন মৌসুমি ফল বিক্রেতারা।
ঝিনাইদহ থেকে বেড়াতে আসা মো. ফয়সাল ইকবাল জানান, আমরা রাঙামাটি আসার সময় পথেই শুনেছি, ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে নিমজ্জিত। কিন্তু এসে শুনছি, আজকেই (সোমবার) নাকি সেতুর পানি নেমে গেছে। তাই এখন নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
ঢাকা থেকে আসা খোরশেদ আলম জানান, এসেছিলাম মূলত ঝুলন্ত সেতু দেখতে। সেতু থেকে পানি সরে যাওয়ায় সেতুর ওপর কিছুক্ষণ হাঁটিহাঁটি করলাম। বেশ ভালোই লেগেছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমাণ ১০৫ এমএলএস (মীনস্ সী লেভেল)। তবে হ্রদে ১০৬ এমএলএস পানি থাকলেই ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে ডুবে যায়।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, ঝুলন্ত সেতু থেকে পানি নেমে গেছে। সংস্কার কাজ শেষে দুই-একদিন পরেই সেতুটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯ সেপ্টেম্বর ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানির ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডুবে যায় রাঙামাটির প্রতীক হিসেবে পরিচিত পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতুটি। সে সময় নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেতুর ওপর দিয়ে পর্যটক ও স্থানীয়দের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ।