রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া অস্থায়ীভাবে তাবুও টাঙানো হয়েছে। সোমবার সকালে রূপনগর এলাকায় অস্থায়ীভাবে ১৫টি তাবু টাঙানো হয় এবং শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসন।
সকালে জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ ও সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার রেদওয়ানুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ জানান, ঝুঁকিতে বসবাসরত এসব মানুষকে নিরাপদস্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য বারবার মাইকিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে ৩০০টি তবৃু রয়েছে। এসব তাবুর কিছু রূপনগরে টাঙানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে আরো তাবু টাঙানেরা কাজ এবং স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা ঝুঁকিতে বসবাস করছে তারা যেনো দ্রুত সময়ে এসব তাবুতে আশ্রয় নিতে পারে। এছাড়াও শহরে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের বিভিন্ন টিম ঝুঁকি মোকাবেলায় কাজ করছে। এসব কাজে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা সহযোগিতা করছে।
রোববার রাঙামাটিতে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও দুপুরের পর থেকে ভারি বর্ষণের কারণে রাঙামাটি শহরের কয়েকটি স্থানে মাটিধসে পড়ে। এছাড়া গতকাল বোরবার সকালে প্রথম সর্তকতামূলক মাইকিং করে জেলা প্রশাসন। রাতে ভারি বর্ষণের কারণে বিভিন্ন স্তানে মাটিধসে পড়ায় ঝুকিপূর্ণ এলাকাও পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ পাহাড়ধসে ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সারাদেশের সাথে বন্ধ হয়ে যায় রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে তিনমাসের বেশি আশ্রয়কেন্দে থেকেছে।
1 Comment
Safe the peoples god.