খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সরিবারে শহীদ না হলে পাহাড়ের পরিস্থিতি আরো ইতিবাচক হত। পাহাড়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য প্রয়াত মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা বঙ্গবন্ধুর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি কৃষক শ্রমিক লীগে(বাকশাল) সালিম হয়েছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে তাঁর সাথে বঙ্গবন্ধুর বোঝাপড়া হয়েছিল। বেঁচে থাকলে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে পাহাড়ের মানুষ সমতলের মানুষের সাথে সমমর্যাদায় এগিয়ে যেত পারতো।
শনিবার সকালে পানছড়ির শিলাচর বন বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মং¯্রুইপ্রু চৌধুরী অপু।
তিনি বলেন, ৭১ এর পরাজিত শক্তি দেশ স্বাধীনের সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে সারাদেশে জঘন্যতম সামরিক শাসন শুরু করে। তারপরের একুশ বছর বাংলাদেশ চলেছে উল্টে পথে। পিছিয়ে যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সাথে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এক বছরের মাথায় পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ের মানুষকে আপন করে নেয়। এখন আমাদের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর যে শ্লোগান ধর্ম যার যার উৎসব সবার সে নীতিতে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়া।
অনুষ্ঠিত দিন ব্যাপী কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠানে সকালে বৌদ্ধ নর-নারীরা পঞ্চশীল গ্রহণের পর কঠিন চীবরদান, মূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার দান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডদানসহ নানাবিধ দান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আলোচক ছিলেন আদি কল্যাণ মহস্থবির ভান্তে, বিহারধ্যাক্ষ জ্ঞান জ্যোতি মহাস্থবির। অনুষ্ঠানে দেশ জাতি তথা সকলে মঙ্গল কামনা প্রার্থনা করা হয়। অনুষ্ঠানে হাজারো পুণ্যার্থীর অংশগ্রহণ ঘটে।