
জিয়াউল জিয়া ॥
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে জমে উঠেছে শহরের ট্রাক টার্মিনালে একমাত্র কোরবানির পশুর হাটটি। তবে শেষ দিকে এসে পশুর দাম বাড়তির দিকে জানালেন ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতা পশুর দাম ভালো পাচ্ছেন বলে জানান। এদিকে পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের কারোই মুখে ছিল না মাস্ক ছিল না সামাজিক দূরত্ব। প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৩৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হলে ২ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্যের দামসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি চাইতে হচ্ছে। দর কষাকষির পর পছন্দের গরু নিতে পেরে খুশি ক্রেতারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়, এ বছর কোরবানির জন্য রাঙামাটি জেলার পশুর চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও পশুর নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে নদীপথে বোটে করে এবং সড়কপথে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসছে হাটে। হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের বিপুল সংখ্যক গরু উঠলেও দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা ফিরে এসেছেন। ক্রেতাদের চাহিদা বেশি মাঝারি ধরনের পশুর।
ক্রেতা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘গরু কিনতে এসে পুরো হাট ঘুরে দেখলাম। গেলো বছরগুলোর তুলনায় প্রতিটি গরুই ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি মনে হচ্ছে। আরও সময় আছে দেখি কি করা যায়।’
বিক্রেতা মো. মোতালেব মিয়া বলেন, ১ লাখ টাকার গরুর ৬০ হাজার টাকা বলছে ক্রেতারা। লোকসানে কি গরু বিক্রি করবো নাকি?
রাঙামাটি ট্রাক টার্মিনালের পশু হাটের ইজারাদার মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বাজারে অনেক গরু উঠেছে। ক্রেতাদেরও উপচেপড়া ভিড় আছে। বিকেলে মানুষের ভিড় ভালো থাকে।’
রাঙামাটি জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বরুণ কুমার দত্ত বলেন, প্রতিটি পশুর হাটে একজন করে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। হাটে অসুস্থ পশু কেউ নিয়ে আসছে কিনা অথবা হাটের কোন পশু অসুস্থ হচ্ছে কিনা সেটি দেখা হচ্ছে। একই সাথে পশু কোরবানি দেয়ার পর পশু চামড়া রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি লিফলেট আকারে বিতরণ করা হচ্ছে।
রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মামুন জানান, প্রশাসনের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব না। প্রতিদিন চারটি মোবাইল টিমের মাধ্যমে মাস্ক পরিধানের বিষয়টি সচেতন করা হচ্ছে। মোবাইল টিম চলে গেলে মানুষ আবার উদাসিন হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকেউ তার নিজ পরিবাররে জন্য হলেও সচেতন হওয়া উচিত।