‘আমাদের মেধায় নির্মিত হবে আগামীর ইতিহাস’- এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো পার্বত্য চট্রগ্রাম মেধাবৃত্তি-২০১৭। রবিবার সকাল থেকে বৃত্তি পরীক্ষার্থী ও অভিবাবকদের ভীড়ে মুখর হয়ে উঠে পরীক্ষা কেন্দ্র রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয় চত্বর।
বৃত্তি পরীক্ষা সকাল এগারোটায় শুরু হলেও সকাল দশটার আগে থেকে পরীক্ষার্থী ও অভিবাবকরা আসতে শুরু করে রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে । বৃত্তি পরীক্ষাটি অভিবাবকদের কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা সিএনজি অটোরিক্সায় বসে সন্তানকে কি ভাবে কি লিখবে তা শিখিয়ে দেওয়ার চিত্র দেখেই বোঝা যায়।
রাঙামাটির ইতিহাসে প্রথম কোন পত্রিকা প্রথমবারের মতো এই বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করে, যাতে ১৭টি বিদ্যালয়ের প্রায় সাতশত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করা রাঙামাটির ইতিহাসে এই প্রথম এবং ব্যতিক্রমি। ভিন্নধর্মী এই আয়োজন মুগ্ধতা ছড়ায় পুরো শহরে।
দৈনিক পার্বত্য চট্রগ্রাম মেধা বৃত্তি পরীক্ষার পরীক্ষার্থী ও অভিবাবকদের মধ্যে এত সাড়া আসলে কি পরীক্ষার্থীদের মেধার কোন বিকাশ হবে কিনা এবং অভিবাবকরা এই বৃত্তি পরীক্ষা থেকে কি প্রত্যাশা করে এমন প্রশ্নের উত্তরে পরীক্ষা দিতে আসা এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মিনতী বড়ুয়া জানান, আমরা প্রত্যাশা করি এই পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মূল্যায়নের মাধ্যমে তাদের বৃত্তি দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মূল্যায়ন হলে তাতে তাদের উৎসাহ বাড়ে পড়ালেখায়। তারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে জ্ঞান আহরণে চেষ্টায় সব সময় পড়ালেখায় মনোযোগি হবে। তাই আমি প্রত্যাশা করবো সময় লাগলে ও খাতার যাতে প্রকৃত মূল্যায়ন হয় এবং এই বৃত্তি পরীক্ষাটি যাতে প্রতি বছর আয়োজন করা হয় সেই অনুরোধ জানান তিনি।
নিউ রাঙামাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর পরীক্ষার্থী মিমি দাশের মা বেবী দাশ বলেন, পার্বত্য চট্রগ্রামের ইতিহাসে এই প্রথম কোন পত্রিকা বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করেছে, যা আমাদেরকে অনেক উৎসাহ যুগিয়েছে সন্তানদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাতে। আমি মনে করি এই বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছে, কর্তৃপক্ষও তাদের মেধার প্রকৃত মূল্যায়নের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যতে যে কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে উৎসাহ যোগাবে।
আর এক অভিবাবক জসিম উদ্দিন বলেন, দৈনিক পার্বত্য চট্রগ্রাম এই বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মেধার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেল। যাতে করে তারা তাদের অজানা বিষয়গুলো জানতে আগ্রহী হবে। তারা শিক্ষাকে আনন্দের সাথে প্রতিযোগিতামূলক ভাবে গ্রহণ করবে। তারা শিক্ষাকে পড়ার জন্য পড়া নয় একে অন্যের চেয়ে বেশি জানার জন্য পড়ার কাজে উৎসাহিত হবে বলে আমি মনে করি।
অভিবাবক সুমন জানান, এই বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার বিকাশে অংশগ্রহণকারিরা আরো উৎসাহিত হবে। আর এই বৃত্তি পরীক্ষা যাতে বন্ধ করে দেয়া না হয়, প্রতি বছর যেন চালিয়ে যায় পৃষ্ঠপোষকরা এই অনুরোধ করব, যাতে করে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার প্রয়োগের সুযোগ পায়।
শুধু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাই নন, মুগ্ধতা আর ভালোবাসা ছিলো বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের চোখে মুখেও। ব্যতিক্রমি এই আয়োজনটি রাঙামাটির ইতিহাসেই যেনো নতুন করে ভিন্ন এক প্রাণের দ্যোতনা সৃষ্টি করেছে।
এইমাত্র প্রকাশিতঃ
- কাপ্তাইয়ে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
- রাইখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
- মহালছড়িতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
- বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান আর নেই
- স্বদেশ’র ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ আবৃত্তি ও কথামালা
- জম্মাষ্টমীর মঙ্গল শোভাযাত্রা পার্বত্য খাগড়াছড়িতে
- বান্দরবানে অটোরিকশার ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
- বান্দরবানে জন্মাষ্টমী উৎসবের শোভাযাত্রা