নিজস্ব প্রতিবেদক
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলাসহ চারটি হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী নবনির্বাচিত চার ইউপি চেয়ারম্যানকে শপথ গ্রহণের পর রাঙামাটি শহরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কানন চাকমা এবং নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অমল কান্তি চাকমা, বুড়িঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রমোদ খীসা ও সাবেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুপম চাকমা।
মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শপথগ্রহণ করতে আসেন তারা। সেখানে শপথ গ্রহণ শেষে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া চার চেয়ারম্যানই ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ‘স্বতন্ত্র’ পরিচয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদাছ্ছের হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে,গ্রেফতারকৃতরা সবাই ২০১৮ সালে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চত্বরে গুলি করে হত্যা করা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা সহ কয়েকটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী তারা। আমরা তাদের গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করেছি। ’
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত চারজনই ২০১৮ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলা সহ নানিয়ারচর থানায় শান্ত চাকমা ও কোলময় চাকমা হত্যা,লংগদু থানায় নিরিহ রঞ্জন চাকমা হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। আমরা তাদের গ্রেফতারের জন্য খুঁজছিলাম। আজ (মঙ্গলবার) একসাথেই পেয়েছি। তবে তারা যেহেতু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি,সেহেতু আদালত যেভাবে নির্দেশনা দিবেন,সেভাবেই পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩ মে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা নিজ কার্যালয়ে মোটর সাইকেলযোগে আসলে কার্যালয়ের সামনের চত্বরে তাকে গুলি করে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। এই ঘটনায় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)’র শীর্ষ কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় পর্যায়ের বেশ কিছু নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিকে আসামী করে নানিয়ারচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতার হওয়া চার চেয়ারম্যানই ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। ওই হত্যাকান্ডের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(এমএনলারমা) বরাবরই প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ কে দায়ি করে আসছে। তবে ইউপিডিএফ এই অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করছে।