প্রান্ত রনি
হত্যাচেষ্টা মামলায় রাঙামাটি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুক আহমেদ সাব্বিরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে রাঙ্গামাটির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তা এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, রাঙামাটি সদর উপজেলা কৃষকলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় ছাত্রদল নেতা ফারুক আহমেদ সাব্বির রোববার আদালতে আত্মসর্মপন করে জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দুলাল সরকার জানান, আসামীপক্ষের পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হলে আমরা এর বিপক্ষে অবস্থান নিই। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত আসামির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সাবেক স্ত্রী ও কথিত যুব মহিলালীগ নেত্রী মনিকা আক্তার এবং রাঙামাটি জেলা ছাত্রদল সভাপতি ফারুক আহমেদ সাব্বিরকে আসামি করে রাঙামাটি কোতোয়ালী থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন রাঙামাটি সদর উপজেলার কৃষকলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান। এই মামলার এক নম্বর আসামি মনিকা আক্তার রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীর দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় কারাগারে রয়েছেন। দুই নম্বর আসামি ও ছাত্রদল নেতা সাব্বির উচ্চ আদালত থেকে নেয়া অন্তর্বতীকালিন জামিনে ছিলেন এবং আজ (রোববার) নিন্ম আদালতে হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসর্মপন করে জামিন আবেদন করলে আদালত কারাগারে পাঠান।
মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, তার সাবেক স্ত্রী মনিকা আক্তারের সঙ্গে ছাত্রদল নেতা ফারুক আহমেদ সাব্বিরের ‘প্রেমঘটিত’ সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে সাব্বির দলীয় ‘ক্যাডার’ বাহিনী ও মনিকা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে ২০২১ সালের ২৯ জুলাই রাতে মোস্তাফিজুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশে রাঙামাটি জেলা শহরের রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে হামলা করেন বলে অভিযোগ মোস্তাফিজের। যদিও স্ত্রীর সাথে সাব্বিরের সম্পর্কের বিষয় নিয়ে মামলার এজাহারে কিছুই লিখেননি মোস্তাফিজ।