২০১৫ সালে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচন। সেই হিসেবে এই বছরেরই শেষান্তে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রাঙামাটি পৌরসভার পরবর্তী নির্বাচন। চলমান করোনযুদ্ধেও থেমে নেই পৌরনির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার,অপপ্রচার কিংবা নীরবযুদ্ধ। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সর্বশেষ নির্বাচনে রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসেবে আকবর হোসেন চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সুপারিশপত্রটি।
এই ক্রান্তিকালে কেনইবা এই চিঠি সামনে আসলো,পেছনের কারণ কি আর বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন রাঙামাটির আওয়ামীলীগ নেতারা জানার চেষ্টা করেছি আমরা।
রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন- বিষয়টি দু:খজনক। সারাবিশ্ব,সারাদেশ এবং সারা রাঙামাটির মানুষ যখন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে,তখন রাজনীতি নিয়ে এইসব নোংরামি ঠিক না। সম্ভবত যারা আগামী নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে চায়,আমার উত্থান যাদের সহ্য হচ্ছেনা,তারাই এসব করছে। তবে সংগঠনের গোপন এসব ডকুমেন্টস প্রকাশ্যে আসাটা আমাদের সবার জন্যই বিব্রতকর এবং কষ্টের। যাদের দায়িত্ব এসব সংরক্ষন করা এটা তাদের ব্যর্থতা।’ মেয়র আকবর আরো বলেন- অভিযোগ করা হচ্ছে,আমি নাকি কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন এনেছি বলে দাবি করেছি,স্থানীয় নেতৃত্বকে অস্বীকার করেছি,এসব মোটেও সত্য নয়। কেন্দ্র হয়তো আমাকে ভালো জানে,চিনে,তাই বলে স্থানীয় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ছাড়া কারোই মনোনয়ন পাওয়া সম্ভব নয়। আমি সেটা কখনো দাবিও করিনি। এসব অপপ্রচার।’
তবে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর জানিয়েছেন, এই চিঠি আমার কাছ থেকে প্রকাশিত হয়নি। কে বা কারা প্রকাশ করেছে সেটাও আমি জানিনা। কারণ এই চিঠি শুধু আমার কাছেই নয়,সেইসময় নির্বাচন ও মনোনয়ন কমিটির সবার কাছেই ছিলো। এখন হয়তো তাদের কারো কাছ থেকেই প্রকাশিত হয়েছে। আমিও আপনাদের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখেছি সেই চিঠি। ফেসবুকে পোস্ট করেছে এমন কয়েকজনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম আমি,তারা আমাকে বলেছে,মেয়র সবসময় বলেন,তিনি ঢাকা থেকে মনোনয়ন এনেছেন,রাঙামাটি আওয়ামীলীগকে তার দরকার নেই,সেই কারণেই ক্ষুদ্ধ হয়ে তারা এটি প্রমাণ হিসেবে পোস্ট করেছে ফেসবুকে।’ তবে আমি সবার প্রতি অনুরোধ করবো,দলের শৃংখলা ও নিয়মনীতি এবং দলীয় নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে। কারো যেমন দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা উচিত নয়,তেমনি দলীয় এসব ডুকমেন্টও প্রকাশ্যে প্রচার করে বেড়ানোও উচিত নয়।’