
যাতায়াতে সমস্যার কথা দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও সাড়া না পেয়ে গ্রামবাসী নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে চারশ মিটারের অধিক রাস্তা তৈরি করেছে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের ‘বগাচতর গ্রামে’র অধিবাসীরা। এই রাস্তা নির্মাণের ফলে উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের ছয়, আট ও নয় নম্বর তিনটি ওয়ার্ডের হাজারোধিক জনসাধারণ সহ স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পড়–য়া কয়েকশতাধিক ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে।
ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, ‘আমাদের এলাকাটি চতুর পাশে নদীবেষ্টিত। শুষ্কমৌসুমে প্রায় ৫/৬মাস পর্যন্ত গ্রামের লোকজনসহ ছাত্র ছাত্রীরা এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে থাকে। কিন্তু রাস্তাটিতে পানি ও কাদা জমে থাকায় যাতায়াত করতে খুবই কষ্ট হত।’
একই ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা মোঃ মিন্টু মিয়া জানান, ‘রাস্তাটি মাটি ভরাট করে আরেকটু বড় এবং উঁচু করার জন্য আমরা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম। তাতে কোন কাজ হয়নি। বর্তমান চেয়ারম্যান তখন আমাদের বলেন, ওই রাস্তা নির্মাণের জন্য নাকি কোন প্রকল্প বা বরাদ্দ নাই। বগাচতর-লংগদুর সাথে নাকি একটি বড় ব্রিজ হবে। তখন এই রাস্তা ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন’। তাই আর কোন উপায়ান্তর না দেখে আমরা এলাকাবাসী মিলে স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে রাস্তা তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি।’
নয় নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কাশেম বলেন, রাস্তাটি আসলে সারা বছর ব্যবহার হয় না। কাপ্তাই লেকের পানি শুকালে তখন ব্যবহার হয়। প্রতিবছর মাটি ভরাট করতে পারলে তবে অনেকদিন ব্যবহার হত। এ ব্যপারে চেয়ারম্যান আমাদের কোন প্রকল্প দেয় না। তাই এলাকাবাসীদের নিয়ে পরামর্শ করে কলের শ্রমে রাস্তা তৈরি করা হয়।
এ ব্যাপারে বগাচতর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মুঠোফোনে জানান, রাস্তার বিষয়টি হচ্ছে পানি শুকালে অল্প কিছুদিন এই ধরে এই রাস্তা দিয়ে লোকজন হাঁটতে পারে। এখানে স্থায়ীভাবে করতে হলে একটি ফুটব্রিজের দকার। কর্তৃপক্ষের কাছে আমি ব্রিজের জন্য আবেদন করেছি। ব্রিজটি নির্মাণ হলে তিনটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এক রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে পারবে।