সৈকত বাবু
করোনা মহামারী মোকাবেলায় দেশ জুড়ে দেয়া হচ্ছে করোনার টিকা। সারাদেশের মত রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগও নিয়মিত করোনা টিকা দিচ্ছে রাঙামাটির সাধারণ মানুষদের।
তবে পরিস্থিতি বলছে, স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা টিকা সাধারণ মানুষদের দিয়েই দায় সারছে, টিকা দেয়ার পর ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, সুঁই যত্রতত্র ফেলে চলে যাচ্ছে। নেই সেইসব সিরিঞ্জ অপসারনের কোন উদ্যোগও।
রাঙামাটির কুমার সমিত রায় জিমনেশিয়ামে প্রতিদিন দেয় হয় করোনা টিকা কিন্তু টিকায় ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ও সুঁই যথাযথ জায়গায় না করে ফেলে রাখা হচ্ছে জিমনেশিয়ামের ভিতরে ও জিমনেশিয়াম মাঠের আশেপাশে। ফলে ব্যবহৃত সিরিঞ্জির মাধ্যমে নানা ধরনের রোগ ছড়ানোর আশংকা তৈরি হয়েছে। এ সিরিঞ্জ বিভিন্ন সময় মানুষের পায়ে ডুকছে, অনেকসময় ছোট ছেলেরা সেগুলো নিয়ে খেলাধূলা করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জিমনেশিয়ামেরর ভিতরে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ও সুঁই, পাশেই অনুশীলন করছে কারাতের ক্ষুদে প্রশিক্ষণার্থীরা। এখানে নিয়মিত ব্যাডমিন্টন খেলা হয়। অন্যদিকে জিমনেশিয়াম মাঠের একাধিক পাশে ফেলা রাখা হয়েছে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ও সুঁই। এতে যেমন বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি তেমনই পরিবেশও হচ্ছে নষ্ট।
কারাতে প্রশিক্ষক যশ্বস্বী চাকমা বলেন, ব্যবহৃত এসব সিরিঞ্জগুলো এভাবে ফেলে রাখাটা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ,একটি নির্দিষ্ট স্থানে সিরিঞ্জগুলো ফেললে খুবই ভালো হয়।
রাঙামাটি জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকান্ড মেনে নেয়া যায় না। এভাবে সাধারণ মানুষ বা খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলার কোন মানে হয় না।
রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম বলেন, আমি এমন খারাপ অবস্থা দেখে আগেও দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে বিষয়টি অবহিত করেছিলাম, কিন্তু তারা পাত্তাই দেয় নাই আমার কথা। এভাবে খেলার একটি জায়গা বিপদজনক করা অযৌক্তিক। স্বাস্থ্য বিভাগকে পরিচ্ছন্নভাবে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের অনুরোধও জানান তিনি।
রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা বলেন, ‘ব্যবহৃত সিরিঞ্জ বাহিরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কথা না,আমি তাদের বলে দিব। তবে আমি যতটুকু জানি সিরিঞ্জগুলো একপাশে রাখে প্রতিদিন পরিস্কার করা হয় না, তবে মাসে একবার পরিস্কার করা হয়।’