
জিয়াউল জিয়া ॥
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকালে শেখ কামালের অস্থায়ী বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ছিল নানা আয়োজন।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিকুল কবির, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র, রাঙামাটি রোবার স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার।
বক্তারা বলেন, বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক ছিলেন শহীদ শেখ কামাল। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী ক্রীড়ার জাগরণ শেখ কামালের হাত ধরে।
বক্তারা আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে শেখ কামালের অবদান ছিল বীরোচিত। মাত্র ২২ বছর বয়সে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ও তখনকার ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ২৫শে মার্চ কাল রাতে পাকহানাদার বাহিনী ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কস্থ বাসভবন আক্রমণ করার পূর্ব মুহূর্তে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বিপদগামী একদল সেনাকর্মকর্তার নির্মম বুলেটে মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহাদাতবরণ করেন তিনি।
আলোচনা সভা শেষে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবী যুব ৯ সংগঠনের মাঝে ৪০ হাজার টাকা করে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার চেক ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়।