
পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পের জায়গায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণায় ‘তীব্র ক্ষোভ’ ও ‘আপত্তি’ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলছেন-‘‘সরকারের এই উদ্যোগ কেবল ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক চেতনার পরিপন্থীই নয়, তা পাহাড়ি জনগণের সাথেও চরম বিশ্বাসঘাতকতার সামিল।’
পার্বত্য চট্টগ্রামে পুলিশ তথা নিরাপত্তা বাহিনীর বর্তমান ভূমিকাকে ‘বিতর্কিত ও গণবিরোধী’ আখ্যায়িত করে অংগ্য মারমা বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের ১৮ আগষ্ট খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে বিশেষ গোষ্ঠীর সৃষ্ট সন্ত্রাসীদের পরিচালিত চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের ঘটনার সময় বাজারে পাহারারত পুলিশ সদস্যরা ও নিকটস্থ বিজিবি সেক্টর সদর গেইটের জওয়ানরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল।’
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন-‘পাহাড়ে শান্তি স্থাপন করতে হলে নতুন পুলিশ ক্যাম্প নয়, নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প নয়, তাদের গণবিরোধী ভূমিকারই পরিবর্তন করতে হবে।’
অংগ্য মারমা উক্ত ‘অন্যায্য ও পাহাড়ি-বিদ্বেষ ‘ দাবি করে ওই ঘোষণা বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সৃষ্ট ও নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোকে ভেঙে দেয়ার দাবিও জানান।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)’র প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের মুখপাত্র নিরন চাকমার সাক্ষরে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইসব তথ্য জানানো হয়।