খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী অনন্ত ত্রিপুরা(২৮)কে গ্রেফতার করেছে রামগড় থানা পুলিশ। বুধবার(২২ এপ্রিল) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় পুলিশ সুত্রে জানা গেছে । পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে স্ত্রীকে হত্যার কথা প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছে অনন্ত ।
পুলিশ জানায়, উপজেলার ১ নং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম পাহাড়ী গ্রাম রশ্বিয়া পাড়ার জরি চন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে অনন্ত ত্রিপুরা গত ১৮ এপ্রিল বিকালে সাংসারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রী রন্দবালা ত্রিপুরার(২২) সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে অনন্ত উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কোদাল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় কোপ দেয়। এতে স্ত্রী রন্দবালা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। কোদালের আঘাতে তার মাথা থেতলে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে স্বামী ও পরিবারের লোকজন নিহতের লাশ দ্রুত দাহ করে ফেলে।
নিহতের বাবা রাজ কুমার ত্রিপুরা জানান, ঘটনাটি স্বামী বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের কাছে গোপন রাখা হয়। ঘটনার দুদিন পর, ২০ এপ্রিল প্রতিবেশিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা অনন্তর বাড়িতে ছুটে যান। এ সময় রন্দবালার স্বামি কৌশলে বাড়ি থেকে সরে যায়। গ্রামের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবদে অনন্তর পরিবারের লোকজন হত্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, রন্দবালার দুটি মেয়ে আছে। ছোট মেয়েটির বয়স দেড় বছর।
রামগড় থানার ওসি(তদন্ত) মো.মনির হোসেন বলেন, নিহতের বাবা রাজ কুমার ত্রিপুরা বুধবার(২২ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় থানায় এসে মেয়ের হত্যার ঘটনায় একটি এজাহার দাখিল করেন। এরপরই পুলিশ আসামীকে গ্রেফতারে মাঠে নামে। বুধবার রাত ৯টার দিকে রশ্বিয়াপাড়া এলাকা থেকে আসামী অনন্ত ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করা হয়।
এই বিষয়ে রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামসুজ্জামান জানান মেয়ের বাবা বাদি হয়ে রামগড় থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ।