সৌন্দর্যবর্ধনে ১০ হাজার চারা রোপণের উদ্যোগ লামা ইউএনও’র

লামা প্রতিনিধি ॥
‘সবুজ প্রকৃতি পর্যটনের সবচাইতে শক্তিশালী অংশ, যত বেশি প্রকৃতি যতœ নেয়া হবে, তত বেশি আকর্ষণীয় রুপে পর্যটকদের কাছে উপস্থাপিত হবে পর্যটন।’-এ দিক চিন্তা করে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার মিরিঞ্জা পর্যটন ও সড়কের সৌন্দর্যবর্ধনসহ পথচারীদের ছায়া দিতে এক অনন্য উদ্যোগ নিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার। তার নিজ উদ্যোগে পর্যটন ও পর্যটন থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে রোপন করা হচ্ছে কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, জারুল, হিজল, বকুল, কাঞ্চন, সোনালু, মহুয়া, শিমুল ও ঝাউসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাড়ে ১০ হাজার গাছের চারা। মঙ্গলবার দুপুরে মিরিঞ্জা পর্যটনের প্রবেশ মুখে পলাশ গাছের চারা রোপনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচীর উদ্ভোধন করেন, নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার। এ সময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী শামীম, বন বিভাগের সদর রেঞ্জার আতিকুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মন, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুল করিম আরমান সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। আর এ গাছের চারা রোপনে সহযোগিতা করছেন লামা বন বিভাগ।
বৃক্ষ রোপণ উদ্বোধন শেষে নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার জানান, পর্যটন ও রাস্তাটির সুন্দর্য বর্ধন ও পথচারীদের ছায়া দিতেই মূলত এ উদ্যোগ। যাতে রোপিত গাছের চারা নষ্ট না হয় সেজন্য প্রতিটি গাছে বেড়া দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আশা করছেন, গাছগুলো দ্রুত বেড়ে ওঠবে যাতে করে রাস্তাটির সৌন্দর্য বর্ধন হবে, পথচারীরা ছায়া পাবেন এবং দূরদূরান্ত থেকে আগত পর্যটকদেরও মন কাড়বে। নির্বাহী কর্মকর্তার এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বাগান বাড়ী পাড়ার কারবারী অনারাম ত্রিপুর সহ স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ইউএনও’র ভূয়ষী প্রশংসা করে লামা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন ও বন বিভাগের সদর রেঞ্জার আতিকুর রহমান বলেন, পর্যটনে ও সড়কে গাছের চারা রোপণ অবশ্যই মহৎ ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। মিরিঞ্জা গাছে সজ্জিত হলে পর্যটক বাড়বে। একই সাথে সড়ক কেন্দ্রীক নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।