‘সুরের জলসা’য় হারানো দিনের গানে মাতালেন শিল্পী রফিক ও তানি

কাপ্তাই প্রতিনিধি ॥
সেদিন আকাশে ছিল মেঘের ঘনঘটা, ছিল না বৃষ্টি। ঠিক সেই সময়ে গত বুধবার সন্ধ্যা ৭ টায় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জড়ো হয়েছিল শ’তিনেক দর্শক। কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সেইদিন আয়োজন করা হয়েছিল বেতার ও টিভি শিল্পী মো. রফিক ও রওশন শরীফ তানির দ্বৈত সঙ্গীত সন্ধ্যা ‘সুরের জলসা’।
বাচিক শিল্পী ও বাংলাদেশ বেতার রাঙামাটি কেন্দ্রের সিনিয়র উপস্থাপক শিখা ত্রিপুরার প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় শিল্পীদ্বয় একক ও দ্বৈত মিলে সর্বমোট সত্তর ও আশির দশকের জনপ্রিয় ১২টি হারানো দিনের গান পরিবেশন করে দর্শকদের মাতোয়ারা করেন। এইছাড়া সেদিনের ‘সুরের জলসা’ সঙ্গীত সন্ধ্যায় শিল্পীরা একটি করে দেশের গান, রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করে দর্শকদের প্রশংসায় ভাসেন। বিশেষ করে মো. রফিকের কন্ঠে ‘কি আশায় বাঁধি খেলাঘর’, ‘আমারি দুটি চোখ পাথরতো নয়’, ‘আমার গাঁয়ে যত দুঃখ’ এবং তানির কন্ঠে ‘এই শুধু গানের দিন, এই লগনে গান শুনাবার’, ‘যেই ছিল দৃষ্টির সীমানা’ ও ‘আমি মেলা থেকে, তালপাতার এক বাঁশি কিনেছি’ গানগুলো পরিবেশনা মিলনায়তন ভর্তি উপভোগ করেন তুমুল করতালিতে।
এইছাড়া যুগল কন্ঠে ‘এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যা’ গানটি পরিবেশনা যেনো সকলকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন বাংলা সঙ্গীতের সেই সোনালী অতীতে। রাত ৯ টায় অনুষ্ঠান শেষে কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ হতে শিল্পীদ্বয় এবং উপস্থাপককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এইসময় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মুনতাসির জাহানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক, কেপিএম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সুদীপ মজুমদার, চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রবীর খিয়াং। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘সুরের জলসা’ সঙ্গীত সন্ধ্যার আহবায়ক ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মংসুইপ্রু মারমা।
উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্তের সঙ্গীত পরিচালনায় ‘সুরের জলসা’ দ্বৈত সংগীত সন্ধ্যায় যন্ত্র সঙ্গীতে সহায়তা করেন ঃ রুমন শীল, অভিজিৎ দাশ কিষান, সাখাওয়াত শরীফ তানভীর, সুজন দাশ ও ঝুলন দত্ত। শব্দ নিয়ন্ত্রণ ও আলোক প্রক্ষেপণঃ মোহাম্মদ বোরকান।