খাগড়াছড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরো ২জন মারা গেছে। তাঁরা হলেন আব্দুল হামিদ ও মো: জমির। সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল ও চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে গত রোববার ঢাকা মেডিকেলে মারা যান দগ্ধ ভুবন বিকাশ চাকমা। এই নিয়ে মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। খাগড়াছড়ি থানার ওসি সাহাদাৎ হোসেন টিটো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের মধ্যে আব্দুল হামিদ চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মো: ইউসুফের ছেলে এবং জমির একই এলাকার মো: কামালের ছেলে। এবং ভুবন বিকাশ চাকমা খাগড়াছড়ি সদরের কমলছড়ি এলাকার বিন্দু কুমার চাকমার ছেলে। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারী খাগড়াছড়ির খবং পুড়িয়া গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৭জন দগ্ধ হয়। এরমধ্যে ৪জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ ও হাসাতালে প্রেরণ করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ভুবন বিকাশ চাকমা ও জমিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। এদিকে বিষ্ফোরণের ঘটনায় বিষ্ফোরক
তদন্ত কমিটি সোমবার পুলিশের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনে স্থানীয় ক্যান্টন এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তি ও মজুদ রাখার সত্যতা পান। তদন্ত প্রতিবেদনে ক্যান্টন এন্টারপ্রাইজের মালিক সৌম্য উজ্জল চাকমাসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসআই সানোয়ার বাদী হয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও তার সহকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তবে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলেও জানান তিনি।