সামাজিক ‘লকডাউনে’ খাগড়াছড়ির তিন গ্রামের হাজারো পরিবার

বিশ্বব্যাপী মহামারী সংক্রমণ রোগ নভেল করোনাভাইরাস থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে বাঁশ দিয়ে পাড়ার প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়ে পার্বত্য খাগড়াছড়ির তিন গ্রামকে সামাজিক ‘লকডাউনে’ রেখেছে গ্রামবাসী।
গত শনিবার থেকে জেলা সদরের খাগড়াছড়ি পৌর এলাকাধীন ১নং ওয়ার্ড খবংপুড়িয়া ও ৩ নং ওয়ার্ড শব্দমিয়া পাড়া লকডাউন করে রাখে গ্রামবাসী। এদিকে সোমবার সকাল থেকে পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের চাহ্লওা পাড়াও ‘লকডাউনে’ রাখে গ্রামবাসী। জেলা শহরের এই তিনটি গ্রামে এক হাজারের অধিক পরিবার বসবাস করে।
জনশ্রæতি আছেন, প্রাচীনকালে পার্বত্য জনপদে বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ রোগ দেখা দিলে গ্রামবাসীকে সংক্রমণ রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্যই এমন পদ্ধতি অবলম্বন করতে পাহাড়িরা। এখন করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ও গ্রামে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে তিন গ্রামের এমন উদ্যোগে প্রশংসায় কুড়িয়েছে গ্রামবাসী।
সোমবার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামের প্রবেশমুখে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড। এলাকার বৃহত্তর যুবকেরা এই কাজ করেছে। তবে প্রশাসন, গণমাধ্যম ও মেডিকেল টিম সদস্যরা এর আওতামুক্ত থাকবে।
খবংপুড়িয়া পাড়ার বাসিন্দা অমিও চাকমা জানান, আমরা সকলে নিজেদের সুরক্ষার জন্য কয়েকদিন বাসা থেকে বের না হলে কোনো অসুবিধা হবেনা। তাই আমাদের এলাকার যুব সমাজ এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে স্থানীয়রা বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছে।
চাহ্লওা পাড়ার বাসিন্দা চাইহ্লাসন মারমা জানিয়েছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে আমাদের পাড়াটি সামাজিকভাবে লকডাউন করে রেখেছি। কোনো বহিরাগত এলাকায় প্রবেশ করলে তার মধ্য দিয়ে এলাকায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। মূলত করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, পৌরসভার অধীনস্থ এই কয়েকটি গ্রামের হাজারের অধিক পরিবার বাসবাস করে। তারা নিজেদের সুরক্ষায় জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা সত্যিই খুব প্রশংসনীয়।