
বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাফিক সপ্তাহের সাত দিনে কাপ্তাইয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে মোট ১৪৬ টি যানবাহন এর বিরুদ্ধে মামলা ও ছয়টি যানবাহন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া এ অভিযান পরিচালনা করে ১৩ হাজার ১ শ’ টাকা জরিমানা আদায়ও করা হয়েছে।
গত সাতদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের নেতৃত্ব দেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন। তিনি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সপ্তাহ জুড়ো ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে কাপ্তাই ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর তারক চন্দ্র পাল, কাপ্তাই ট্রাফিক পুলিশ ও থানা পুলিশ সহায়তা করে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন জানান, ‘কাপ্তাই সড়কে অভিযান পরিচালনা করে দেখা গেছে শতকরা ৯০ শতাংশ গাড়ির কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। নেই কোনও ড্রাইভিং লাইসেন্সও। সপ্তাহ জুড়ো অভিযান চালিয়ে মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর বিভিন্ন ধারায় বৈধ কাগজপত্র বিহীন যানবাহন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে মোট ১৪৬টি মামলা দেওয়া হয়। এ অভিযানে মোট ১৩ হাজার ১ শ’ টাকা জরিমানা আদায় ও ছয়টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।’
কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে চলাচলকারি অটোরিকশা চালকরা জানিয়েছে, ‘তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য বিআরটিতে আবেদন করলেও এক শ্রেনীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা অতিরিক্ত টাকা দাবি করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে বিলম্ব করে, এছাড়া দালালদের উৎপাতও আছে বিআরটিএ অফিসে। যার কারণে বছরের পর বছর চালকদের হয়রানির শিকার হতে হয়।’
এদিকে, ট্রাফিক সপ্তাহে প্রশাসন এবং পুলিশের পাশাপাশি কাপ্তাই নৌ স্কাউটস্ লিডার এম জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে ২১ জন নৌ স্কাউটকে চালকদের সচেতন করতে লক্ষ্য করা গেছে।
কাপ্তাই ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর তারক চন্দ্র পাল জানান, ট্রাফিক সপ্তাহের অংশ হিসাবে গত রবিবার হতে কাপ্তাই সড়কের লগগেইট, চিৎমরম, সীতাঘাট, শিলছড়ি, বড়ইছড়ি ও রেশম বাগান এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এছাড়াও ট্রাফিক বিভাগের আওতাধীন রাইখালী এবং বাংগালহালিয়া বাজারেও বিভিন্ন কাগজপত্র বিহীন বিভিন্ন যানবাহন এর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়।