রাঙামাটির দুর্গম সাজেক ইউনিয়নের হাম প্রাদুর্ভাব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির ট্যাবলেট ও প্রতি পরিবারের জন্য চালসহ ৫৬ কেজি ভোগ্যপণ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
সোমবার দুপুরে সাজেকের মাচালং, বাঘাইহাট বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সাত শতাধিক পরিবারের মাঝে এসব সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। ইউকে এইড এর অর্থায়নে স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের সহযোগিতায় বসরকারি উন্নয়ন সংস্থ্যা আশিকা
ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস্ এসব পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা ছাড়াও প্রতিটি পরিবারের জন্য দেড় লিটারের একটি পানির ট্যাংকসহ খাবার পনি বিশুদ্ধ করণ উপকরণ দেয়া হয়।
এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু, বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ মনজুরুল আলম, সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইসরাফিল মজুমদার, সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা, আশিকা ডেভলপমেন্ট এসোসিয়েটস্ এর নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা প্রমুখ।
স্থানীয়রা এসব খাদ্য সামগ্রী ও খাবার পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে জনান, শুষ্ক মৌসুমে ঝিরি থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয় , সেসব পানি খেয়ে প্রায় লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে করোনার ভাইরাসের ফলে গৃহবন্দী জীবন যাপনের ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছোল এমন এসময় আশিকা এনজিও কর্তৃক এসব খাদ্য সামগ্রী ও খাবার পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা বলেন, করোন ভাইরাস সংক্রোমন শুরু হওয়ার পর থেকে সরকার পক্ষে আমরা প্রতিটি ঘরে ত্রাণ সহায়তা পৌছে দিতে চেষ্টা করেছি। এই সময়টাতে সাজেকের প্রতিটি গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। স্থানীয়রা খাবার পানির জন্য ঝিরি পানির উপর নির্ভর করে থাকে কিন্তু সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত না। আশিকা আজ খাবার পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট দিলো এতে করে ঝিরি পানি সংগ্রহ করে ট্যাবলেটের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করতে পারবে। তাতে পানি বাহিত রোগ থেকে অত্র এলাকাটি মুক্তি পাবে।
আশিকা ডেভলপমেন্ট এসোসিয়েটস্ এর নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা বলেন, সাজেকে শুষ্ক মৌসুমে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। তাদের বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট নিরসনে খাবার পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়। সাথে সাথে করোন ভাইরাসের অত্র এলাকার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং একই সাথে জরুরী চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে আশিকা। আমাদের এই কার্যক্রমকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন স্টার ফান্ড বাংলাদেশ ও ইউকে এআইডি।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু বলেন, সাজেকে হাম প্রাদুর্ভাব শুরু হলে আশিকা স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগীতা করেছিল একই সাথে আজ করোনার কারনে কর্মহীন হওয়া মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছে। এভাবে রাঙামাটির বিভিন্ন এনজিওগুলো সাধারণ মানুষের পাশে দাড়ালে সরকারের কাজেও সহায়তা হয়।
তিনি আরো বলেন, অত্র ইউনিয়নে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটের কথা আমি জানি। কিছুদিন আগে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের লোকজনকে বিষয়টি অবহিত করি এবং তারা বিষয়টি দেখে শিজক ছড়া এলাকায় ড্যাম তৈরির প্রস্তাবনা দিয়েছেন। আশা করি এটি হলে এই এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট থাকবে না।