রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, বর্তমান সরকার পাহাড়ের মানুষের প্রতি আন্তরিক। আর এ কারণেই পার্বত্য জেলার ছেলে-মেয়েদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে এ জেলায় মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছেন। এটি সরকারের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ। আমরা উন্নয়ন করতে চাই। আর উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমন্বয়। রোববার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে জেলা উন্নয়ন কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা এখান থেকেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে ভালো চিকিৎসক বা কর্মকর্তা হয়ে এ জেলার মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে প্রতিটি কাজের সফল বাস্তবায়ন দেখাতে হবে। জেলার জনগণের কল্যাণে নিজেদের নিবেদিত করা আমাদের প্রত্যকের দায়িত্ব। জেলার উন্নয়নে অংশীদারিত্বের দাবিদার সংশ্লিষ্ট দপ্তর-অধিদফতরের প্রত্যেক কর্মকর্তাকে নিজ নিজ কাজের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দুু বিকাশ চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আলম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা, কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম চৌধুরী, পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বেলায়েত হোসেন ভূঁহয়া, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ রুবেলসহ জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার ভিত্তিগুলো আরো মজবুত করতে হবে। এ পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে পারলে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ সহজতর হবে। তিনি বলেন, উন্নয়ন সভায় উপস্থিত থাকাটাও আমাদের সকলের কর্তব্য।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসেন অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আলম বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চলছে। তিনি বলেন, এ জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত চারটি উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শীঘ্রই সদর উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, পর্যটনখ্যাত রাঙামাটি জেলাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে পুলিশ প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড ও মাদক বিক্রি ও সেবনের কোনও তথ্য থাকলে তা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।
রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি বলেন, মাদকের সাথে এ জেলার অনেক স্থানে জুয়ার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই জুয়ার কবলে পরে সর্বস্ব হারিয়েছে। তাই মাদক বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি জুয়া বন্ধে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
এছাড়া সভায় উপস্থিত অন্যান্য বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব বিভাগের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।