
পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও সম্ভাবনাময় সংবাদ প্রচারের পরামর্শ জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। শনিবার দুপুরে দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রামের অফিস পরিদর্শনকালে তিনি এ পরামর্শ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়ের নানান সম্ভাবনাময় দিক আছে; যেগুলো অনেকটাই সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছেনা। এখানকার কৃষি ও চাষিদের নিয়ে প্রতিবেদন করা যেতে পারে। যেগুলো তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সহায়তা করবে। প্রান্তিক চাষিদের নিয়ে প্রতিবেদন করলে যেগুলো মানুষ জানতে পারবে। পর্যটন সম্ভাবনাময় বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে আরও অগ্রণি ভূমিকা রাখলে এখানে পর্যটকদের উপস্থিতি আরও বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পত্রিকাগুলোতে পার্বত্য অঞ্চল বা কোনো একটি অঞ্চলকে নিয়ে বিশদ প্রতিবেদন করা সম্ভব না। কিন্তু স্থানীয় গণমাধ্যমে সে সুযোগ রয়েছে। আমি আশা করবো দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনা নিয়ে আরও বেশি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। সেগুলোর আলোকেই আমরা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারবো।’
বীর বাহাদুর বলেন, ‘দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম পত্রিকাটি রাঙামাটি-বান্দরবান-খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংবাদ প্রতিনিয়ত আমাদের সামনে তুলে ধরছে। আমি আশা করবো পার্বত্যাঞ্চলের সম্ভাবনা নিয়ে একটি পাতা সংযুক্ত করে আমাদের অপার সম্ভাবনার দিক গুলোকে তুলে ধরবে পার্বত্য চট্টগ্রাম। এবং এর আলোকেই অত্র অঞ্চলের রাজনীতিবিদ বা সরকার সেই সম্ভাবনার আলোকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারের একুশ শতকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশ, মুক্তিযুদ্ধ এ সকল বিষয়ে সংবাদ প্রচারে করে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধরতে হবে; যাতে তারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে। এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের উন্নয়নে নিজেদের মেধা, প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতাকে প্রয়োগ করতে পারে।’
এসময় রাঙামাটির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এস এম শফি কামাল, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ, দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রামের বার্তা সম্পাদক ইয়াছিন রানা সোহেল, নগর সম্পাদক হেফাজত সবুজ, মফস্বল সম্পাদক শংকর হোড়, পত্রিকটিার বান্দরবান প্রতিনিধি ইয়াছিনুল হাকিম চৌধুরীসহ রাঙামাটি অফিসে কর্মরত অন্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী পত্রিকার সম্পাদক ফজলে এলাহীর সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের গণমাধ্যম, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, রাজনীতিসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে পত্রিকাটির সংবাদকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। এরপর তিনি পত্রিকাটির বার্তাকক্ষ ঘুরে দেখেন এবং প্রশংসা করেন।