আরমান খান
‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সব ধর্ম বর্ণের মানুষের বসবাস। সাম্প্রতিক সময়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দূর্গাপূঁজায় মন্ডপগুলোতে যে হামলা ও ভাঙ্গচূর হয়েছে এবং বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ হয়েছে তা নিন্দনীয় অপরাধ। এ ঘটনায় জড়িত অনেককেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এখন পার্বত্য এলাকায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দান উৎসব শুরু হয়েছে। এখানেও কোনো সাম্প্রদায়িক গোষ্টি তাদের অপচেষ্টায় লিপ্ত হতে পারে সেজন্য প্রশাসনকে সহযোগীতা করতে হবে। আপনারা যদি মনে করেন সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাহলে আপনারাই পুলিশকে, সেনাবাহিনীকে ও প্রশাসনকে জানান। সম্প্রীতি রক্ষায় কমিউনিটি পুলিশকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।’
শনিবার সকালে জেলা পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সাংসদ দীপংকর তালুকদার।
আলোচনা সভায় তিনি আরো বলেন, সম্প্রীতি রক্ষায় সমাজের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেভাবে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই তা পেতে হলে প্রশাসন ও পুলিশকেও সহযোগিতা করতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার করা ক্যাম্পে পুলিশ ক্যাম্প বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুলিশের কাজকে সহজ করতে আরো বেশি সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে যে সকল থানায় স্পীডবোটের দরকার এবং গাড়ীর দরকার সে সমস্ত থানায় এসব যানবাহনের ব্যবস্থা করা হবে।
‘মুজিববর্ষে পুলিশ নীতি,জনসেবা আর সম্প্রীতি’ প্রতিপাদ্য বিষয়ের আলোকে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে শনিবার সকালে বর্ণাঢ্য মোটর শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাহামুদা খানম। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য হাজী কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশে যে পরিমান পুলিশ রয়েছে তা দিয়ে এতো বিশাল জনসংখ্যার নিরাপত্তা দেয়া অসম্ভব ব্যাপার। তাই কমিউনিটি পুলিশের ধারনাকে বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে। এর ফলে সুফলও আসতে শুরু করেছে। পুলিশের সাথে জনগনের সুসর্ম্পক তেরী হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম আরো বেগবান করার মাধ্যমে শোষনহীন ও শান্তিপূর্ন স্থীতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
সভা শেষে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে সাহসিকতা ও অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় পুলিশ সদস্যদের মাঝে সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।