দীঘিনালা প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার চংড়াছড়ি এলাকায় সৎ মায়ের কুপরামর্শে পিতা কর্তৃক চার কন্যাকে নির্যাতন, হয়রানি, মামলা ও ঘর থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে চার কন্যা। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্ত সেই পিতা সোহরাব হোসেন (৬৬)।
সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান তার দ্বিতীয় সংসারের পুত্র ইস্তিয়াজ হাসান। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সোহরাব হোসেন বলেন, আমার প্রথম সংসারের ছোট তিন মেয়ে বড় মেয়ে ও জামাতার কুপরামর্শে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে৷ আমি তাদের সন্তান হিসেবে স্বীকার করলেও আমার জীবদ্দশায় আমার সম্পত্তির ভাগ দিবো না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বড়মেয়ে মারুফা আক্তার ও তার স্বামী ফজলুল করিম ছোট তিন মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পিতা সোহরাব হোসেন দায়েরকৃত চারমেয়ে ও বড় মেয়ের জামাতার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলার প্রধান সাক্ষী মো. জয়নাল আবেদীন লিডার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জয়নাল আবেদীন জানান, ডাকাতির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। সোহরাব হোসেন ঘটনা সম্পর্কে তাকে জানিয়েছিল। পরে তার অজান্তেই তাকে মামলার সাক্ষী দেওয়া হয়েছে।
সন্তানদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা কেনো থানায় করেননি? এমন প্রশ্নের জবাবে সোহরাব হোসেন বলেন, থানায় পুলিশ মামলা নেয়নি তাই আদালতে মামলা করা হয়েছে।
সোহরাব হোসেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতিমা আক্তার ও পুত্র ইস্তিয়াজ হাসানের উপস্থিতিতে চার মেয়ে ও বড় জামাতার বিরুদ্ধে একতরফা বক্তব্য উপস্থাপন করলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।