খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ধর্ষনের অভিযোগে হতদরিদ্র পরিবারের এক শিশুকন্যা (৭) অসুস্থ হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। ঘটনাটি স্থানীয়রা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপনেরও অভিযোগ উঠেছে। শিশুর পরিবারের পক্ষ্য থেকে বিষয়টি স্থানিয় পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হলেও মামলা না করার অজুহাতে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; অপরাধি রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলছেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংসার কথা বলায় সময় দেওয়া হয়েছে।’ অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, ‘তিনি ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেননা।’
জানা যায়, উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের সোবাহানপুর এলাকায় চলতি মাসের ১৩ তারিখের সন্ধায় (গত শনিবার) ঘটনা এটি। স্থানিয়ভাবে মিমাংসার আশ্বাস, টাকা দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা সর্বোপরি লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনাটি প্রকাশ করেনি ঘটনার শিকার হতদরিদ্র ওই পরিবার। কিন্তু সর্বশেষ শুক্রবার শিশুটির শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে বাধ্য হয়ে শিশুটিকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল কতৃপক্ষ্য প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর শিশুটিকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এর পরই জানাজানি হয় শিশুকে যৌন নির্যাতরে এ ঘটনা। শুক্রবার রাতে দীঘিনালা উপজেলা হাসপাতালে ডিউটিরত উপসহকারি চিকিৎসক মো. রাশেদুল আলম জানান, ‘শিশুটি যৌন নির্যাতনের শিকার। তাই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থান্তর করা হয়েছে।’
শিশুটিা মা জানান, পার্শ্ববর্তি আলি আহাম্মদের বাড়িতে যাওয়ার সময় একই এলাকার হাবিব খাঁর ছেলে মো. হানিফ (১৮) শিশুটিকে জঙ্গলে নিয়ে জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন চালায়। বিষয়টি ওই শিশু মাকে জানানোর পর তিনি হানিফের পরিবারকে ঘটনাটি জানান। তাঁরা বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করে সমাধানের আশ্বাস দেন। এবং বলে দেন জানাজানি হলে মেয়ে পক্ষের সম্মান যাবে অনেক বেশি। কিন্তু আসলে কি করলে কি হয় সে নিয়ে ভাবনায় ছিলেন তাঁরা। এর পরেও বিষয়টি স্থানিয় পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিতভাবে জানানো হয়; কিন্তু কোন কিছুই হয়নি। এক পর্যায়ে মেয়েটি বেশি অসুস্থ হয়ে পরলে হাসপাতালে নিয়ে যান।
জানতে চাইলে ছোটমেরুং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাছির মিয়া বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তবে মামলা না হওয়ায় কোন ব্যবস্থা নিতে পারছিনা। এদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সামাজিক সালিশে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন।’
অপরদিকে মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রহমান কবির রতন এ ঘটনার কিছুই জানেনা বলে দাবি করেছেন।
এদিকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার হেলাল উদ্দিন জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। ঘটনাটির কোন স্থানিয় সমাধান নয় বরং তদন্ত পূর্বক সঠিক বিচার হওয়া প্রয়োজন বলেও দাবী করেছেন হেলাল উদ্দিন।
অভিযুক্ত হানিফের পরিবারের কাউকে খোঁজ করেও না পাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Previous Articleলংগদু অগ্নিদুর্গতদের বাড়ি নির্মাণে আবারো দরপত্র আহ্বান
Next Article টানা তিন ম্যাচ হেরে বিদায় রাঙামাটির!
2 Comments
সব শালারা বেজন্মা জানোয়ার
Hang this rapist…ei janowar ghula re keu maira felai na ken…