শুভ্র মিশু
আর কদিন পরেই শুরু হতে যাওয়া শারদীয় দুর্গোৎসব নিরাপদ, আনন্দঘন ও উৎসবমুখর করার লক্ষ্যে রাঙামাটির সকল মঠ-মন্দির, পূজা আয়োজন কমিটি এবং সনাতনী সংগঠন সমূহের প্রতিনিধিদের সাথে দুর্গোৎসব প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
সোমবার দুপুরে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা, সিএনজি অটোরিক্সা চালক সমিতির সভাপতিসহ সনাতনী সমাজের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত রেজুলেশন সম্পর্কে অবগত করানো হয় পূজা আয়োজনকারী মন্দিরগুলোকে। প্রতিটি মন্দিরে বাধ্যতামূলক ভাবে সিসি ক্যামেরা লাগানো, স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করা, আযান এবং নামাজের সময় শব্দযন্ত্র নিয়ন্ত্রণে রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, বাজি না পোড়ানো, সূর্যাস্তের আগেই প্রতিমা বিসর্জনসহ আরো কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
পূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ প্রশাসন খুবই তৎপর থাকবে। পূজায় আনসার সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা সর্বতোভাবে নিয়োজিত থাকবে। তবে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুধু প্রশাসনের উপর নির্ভর করলে চলবে না, পূজা আয়োজনকারী কমিটিগুলোকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে। পূজাতে মাদক সেবন করে মন্দিরে প্রবেশ এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি না করতে অনুরোধ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আপনাদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। রাষ্ট্র আপনাদের নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। তবে আপনাদের আন্তরিকতা ব্যতিত এসব সম্ভব না। ফেসবুক ব্যবহারে সচেতন হওয়ারও আহবান জানান তিনি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পূজার আগের জুমাবারগুলোতে মসজিদে খুতবায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার বিষয়টি প্রচারের অনুরোধ জানান তিনি।