দরজায় কড়া নেড়ে আগমনী বার্তা নিয়ে আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা বা দূর্গোৎসব। দূর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে শহরের ১০টি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শহরের প্রায়ই প্রতিটি মন্ডপের প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে,কেবল রঙ আর তুলির আঁচড়ে মাকে জীবন্ত করা বাকি।
প্রতি বছর রাঙামাটি শহরের মন্ডপগুলোতে শহর ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা দর্শনার্থীদের প্রচুর সমাগত ঘটে। এবার রাঙামাটি শহরের সবচে বড় পূজা মন্ডপ রিজার্ভবাজার শ্রী শ্রী গীতাশ্রম মন্ডপ ও রিজার্ভবাজারের আইচ ভবন মন্ডপ, পৌর কলোনীর নারায়ণ মন্দির মন্ডপ, তবলছড়ি শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দির মন্ডপ,আসামবস্তি শীতলা মন্দির মন্ডপ, গর্জনতলীর অখন্ডমন্ডলী সেবাশ্রম মন্ডপ,কাঁঠালতলী দূর্গা মাতৃ মন্দির মন্ডপ, কালিন্দীপুর দশভূজা মাতৃ মন্দির মন্ডপ,কলেজ গেইট দূর্গা মন্দির মন্ডপ,ভেদভেদী কালী মন্দির মন্ডপে সমাগম ঘটবে আশা করছেন পূজার আয়োজকরা।
জেলার সবচে বড় পূজা মন্ডপ গীতাশ্রম পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রকি দেবনাথ বলেন, এবার আমাদের মন্ডপের প্রতিমা নির্মানের কাজ শেষ,এখন রঙ তুলির কাজ বাকি আছে। পূজোর দুইদিন আগেই প্রতিমার রঙ ও সাজসজ্জার কাজ করা হবে।
রাঙামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমর কুমার দে জানান, এবার শহরে ১০টি মন্ডপে পূজা উদযাপিত হবে। এর মধ্যে প্রত্যেক মন্ডপে প্রতিমা নির্মানের কাজ শেষ পর্যায়ে। জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে শারদীয় দূর্গা পূজা পালনের আহবান জানান তিনি।
জেলা পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান জানিয়েছেন, দূর্গাপূজাকে ঘিরে জেলা পুলিশের তিনস্তরে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া মদ্যমান ও মেলার নামে জুয়ার আসর নিষিদ্ধ করা হবে। ইভটিজিং ও সকল প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষনিক নিরাপত্তায় ভূমিকা পালন করবে।