শ্যামা-কালীপূজা শারদীয় দুর্গোৎসবের পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। বিভিন্ন স্থানে এই পূজা শ্যামাপূজা নামে পরিচিত। শ্রীশ্রী কালীপূজায় উদযাপিত হয় দীপাবলি উৎসব।
কালীপূজা এবং ঐতিহ্যবাহী রামগড় শ্রীশ্রী দক্ষিণেশ্বরী কালী মন্দিরের শতবর্ষ জয়ন্তী উপলক্ষে শ্রীশ্রী দক্ষিণেশ্বরী কালী মন্দির পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রদীপের আলোকরশ্মি, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, একশত রঙিন ফানুস ও আতশবাজির ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে ওঠে রামগড় পৌর শহর।
সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারি। এসময় পর্যটন লেইকে ১০০ প্রদীপ ভাসিয়ে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় চন্ডীমন্ত্র উচ্চারণ করেন কালী মন্দিরের প্রধান পূজারী ঠাকুর মৃদুল চক্রবর্তী সাধু। অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক উপস্থিত থেকে উৎসবে সংহতি প্রকাশ করেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু.মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, সিন্দুকছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর জুনায়েদ বিন কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলার উপ পরিচালক (শস্য) নাসির উদ্দিন চৌধুরী, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, সহকারি কমিশনার(ভূমি)সজিব কান্তি রুদ্র, রামগড় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন প্রমুখ।
প্রথা ও বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে, অমাবস্যা তিথির মধ্যে গভীর রাতে কালী পূজা সম্পন্ন হয়। নিশিরাতে অসংখ্য ভক্তমন্ডলী রাত জেগে পূজা-অর্চনায় নিজেদের মনোনিবেশ করেন। অনেকে মায়ের চরণে পুষ্পার্ঘ্য প্রদান করেন। এই মন্দিরেও গভীররাত অবধি পূণ্যার্থীদের সমাগমে মুখরিত ছিল।
রামগড় শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বরী কালী মন্দিরের সভাপতি শ্যামল রুদ্র ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারী নাথ বলেন, মুক্তমঞ্চে প্রথমবারের মত করোনাভাইরাস মহামারীর দুর্যোগ মাথায় নিয়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দীপাবলি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। শতবর্ষ উপলক্ষে একশ প্রদীপ ও একশ ফানুস প্রজ্জ্বলন করা হয়। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে অনুষ্ঠানটি নিয়মিত চালু রাখার। সবার জন্য উপভোগ্য উৎসবমুখর এই অনুষ্ঠানগুলো পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়াবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
অপরদিকে রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বপ্রদীপ কুমার কার্বারি দীপাবলি উৎসবে সবার মঙ্গল কামনায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে শতাধিক মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন।