
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যাকাণ্ডকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই শক্তিমান চাকমাকে হত্যার খবর আসে।
এই খবরে সংবাদ সম্মেলন থেকেই কাদের ফোন করেন রাঙামাটির এসপিকে।
তিনি বলেন, “শাক্তিমানকে কি মেরে ফেলেছে? হি ইজ নো মোর। যারা খুন করেছে তাদের কি এখন তোমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছ না? কেউ কি অ্যারেস্ট হয়েছে?”
এরপরই ওবায়দুল কাদের এসপিকে বলেন, “না না, বি সিরিয়াস অ্যাবাউট ইট। কালপ্রিটদের খুঁজে বের করতেই হবে।”
পরে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “লোকটা (শক্তিমান চাকমা) উপজেলা চেয়ারম্যান, আমার নিজের জেলায়ও না। কিন্তু ওর মৃত্যুতে আমার ভেতরে খুব তোলপাড় হচ্ছে। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে কথা ছিল। ওখানে তো ইন্টারনাল প্রবলেম চলছে।”
শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয় বেলা সোয়া ১১টার দিকে উপজেলা সদরে। উপজেলা পরিষদের পাশে বাসা থেকে নিজের কার্যালয়ে যাওয়ার সময় তাকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
শক্তিমানের সঙ্গে থাকা রুপম চাকমা নামের আরেকজন আহত হন। তিনি জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) নানিয়ারচর উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।
অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা ২০১০ সালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি থেকে বেরিয়ে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) নামে গঠিত নতুন দলে যোগ দেন। সংস্কারপন্থি এই নেতা ছিলেন ওই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি। (বিডিনিউজ)
বুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ উপদেশে প্রাণী বানিজ্য(প্রাণীকে হত্যা করা লাগে বিধায়), বিষ বাণিজ্য বা মাদক বাণিজ্য (যা দ্বারা চেতনা নাশ হয়) ও অস্ত্র বাণিজ্য (এক মুহূর্ত প্রাণে হরণ করা যায়) নিষেধ ছিল। অথচ এই ৩টি দ্বারা পাহাড়িরা আক্রান্ত। এই ৩টি বাণিজ্যই জাতিকে ধ্বংস করছে। ১৯৭৬ সালে এই উপজেলার গর্জন তলি গ্রাম থেকে আমার বড় ৫ ভাই, মা-বাবাসহ ৭ জনকে রাতের আঁধারে ধরে নিয়ে নির্মম নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছিল। মানুষ হত্যা করা জগন্য পাপ। এই পাপে ভারাক্রান্ত জাতি কী দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারবে? নারী জাতির উপর হাত তোলা আরো জগন্যতম পাপ। আমার মা স্নেহ মুখী চাকমা ১৯৪৭এর দেশ বিভাগকালীন সময়ের কিংবদন্তী স্নেহ কুমার চাকমার ছোট বোন অত্যন্ত ধার্মিক ও দয়ালু ছিলেন। বাবা তৎকালীন ভারতে চলে যাওয়া গোপাল ভূষণ চাকমা (পরে ভারতের পুলিশ কর্মকর্তা হন, বর্তমান চাকমা রাজার ১ম স্ত্রীর দিকে মামা শ্বশুর) ‘র জ্যাঠাতো ভাই ছিলেন। আমার আপন কাকা ২ জন, আপন মামা ২ জন, বাবার ২ চাচার ছেলে মেয়ে, বাবার মামাতো বোন আগরতলাসহ ত্রিপুরার অন্যান্য জায়গায় ছিল বিধায় বাবা সেখানে ঘন ঘন যেতেন। এটাই নাকি ছিল আমার বাবার দোষ।