বান্দরবানের লামা ও আলীকদম উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন আরো অনেক এলাকা। গত রাতে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় ডুবে গেছে লামা বাজারের ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সহশ্রাধিক বাড়ীঘর ও অফিস-আদালত। ভারী বর্ষন অব্যহত থাকায় টানা ৩ দিনের ভারি বর্ষণে ও পাহাড়ী ঢলে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সড়কের উপর পানি উঠে যাওয়ায় লামা- আলীকদমের সাথে জেলা সদরসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এদিকে ভারী বর্ষণ অব্যহত থাকায় পাহাড় ধসের আশংকায় শর্তকতা জারী করেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সড়ে যেতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
লামা পৌর সভার মেয়র জহিরুল ইসলাম জানান, গত ৩ দিনের ভারী বর্ষনে লামা উপজেলার অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পৌর এলাকার পুরো বাজার এখন ৫ ফুট পানির নীচে। এতে ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সাথে উপজেলা অফিস, থানা ভবনসহ অধিকাংশ সরকারী-বেসরকারী অফিস আদালতও পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্তÍ হয়েছে। ভারী বর্ষন অব্যহত থাকায় ভয়াবহ বন্যার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে আলীকদম উপজেলার পাহাড়ী ঢলে নতুন আরো অনেক এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে সহশ্রাধিক মানুষ। মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে ব্যাপক পাহাড় ধসের কারণে রুমা-বান্দরবান সড়ক গত ২২ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে রুমা উপজেলার শত শত মানুষকে নদী পথে প্রাণের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
2 Comments
Ushang Ching Saihlanu Marma
ho dst ?????
r bolis na.
bt klk ashmu sure