চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় পেয়ারা বেগম ও নাসরিন আক্তার নামে মা-মেয়ে আহত হয়েছে। এ ঘটনায় সদ্য বিবাহিত চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাসরিন আক্তারের গর্ভের সন্তানও মারা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মুসলিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলাচলের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ছোটভাই মো: খালেক চৌধুরীর সাথে বড় ভাই আশরাফ চৌধুরীর বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বড় ভাই আশরাফ চৌধুরীর স্ত্রী পেয়ারা বেগম ঐ রাস্তা দিয়ে বাড়িয়ে যাওয়ার সময় ছোট ভাই মো: খালেক চৌধুরীর নির্দেশে তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও পুত্রবধু মন্টি বেগমের নেতৃত্বে ৬/৭জন মহিলা আশরাফ চৌধুরীর স্ত্রী পেয়ারা বেগমরে ওপর অতর্কিতে হামলা করে তাকে মারাত্বকভাবে আহত করে।
পেয়ারা বেগমের ছেলে মো: দ্বীন ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মায়ের শোরচিৎকার শুনে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা নাসরিন আক্তার মাকে বাঁচাতে আসলে সন্তান সম্ভবা নাসরিন আকতারকেও মারাত্মকভাবে আহত করে। সেময় তার হাতে থাকা মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় মো: খালেক চৌধুরীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও পুত্রবধু মন্টি বেগম ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাসরিন আকতারের তলপেটে লাথি মারে। এতে তার গর্ভের সন্তানও মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাসরিন আকতারের অবস্তা সঙ্কটাপন্ন হয়ে উঠে। পরে রাত বারোটার দিকে নাসরিন আকতারের মৃত সন্তান প্রসব করানো হয় বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই মো: আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, আমার মা ও বোনকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। তারা আমার বোনের সন্তানকে হত্যা করেছে। তিনি তাদের দৃষ্টান্তমুল শাস্তি দাবি করেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক আঘাতের কারণেই নাসরিন আকতারের পেটে ধীরে ধীরেবড় হয়ে ওঠা সন্তানটি মারাগেছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, এ ঘটনায় আহত পেয়ারা বেগমের ছেলে মো: দ্বীন ইসলাম বাদী হয়ে চাচা মো: খালেক চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে মাটিরাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে বলেও জানান তিনি।