অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পার্বত্য এই শহরে আসার প্রধান অবলম্বন এক লঞ্চ ! রাঙামাটি শহরের সাথে এর ১০ টি উপজেলার মধ্যে ছয়টির যোগাযোগ লঞ্চেই। তবে রাঙামাটির সাথে বাণিজ্যির রাজধানী চট্টগ্রামের যোগাযোগটা বরাবরই সড়ক পথেই।
কিন্তু গত ১২ ও ১৩ জুনের প্রবল বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ধ্বসে ১১২ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর দৃশ্যত: বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হওয়া রাঙামাটি শহরের বিচ্ছিন্ন সড়কের বিকল্প হিসেবে চালু হয়েছে কাপ্তাই হয়ে নৌপথ।
শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই লঞ্চরুটে প্রথমদিন সকাল নয়টায় এবং বিকাল তিনটায় একটি করে লঞ্চে রাঙামাটির রিজার্ভবাজার লঞ্চঘাট ও কাপ্তাই জেটিঘাট এলাকা থেকে ছাড়া হলেও যাত্রীদের ব্যাপক চাপ সামলাতে পরদিন শনিবার থেকেই আরো একটি করে লঞ্চ সার্ভিস বাড়াতে হয়েছে। এখন প্রতিদিন সকাল নয়টা, বারোটা এবং তিনটায়, তিনদফা লঞ্চ যাচ্ছে রাঙামাটি থেকে কাপ্তাইয়ে এবং কাপ্তাই থেকে রাঙামাটিতে। কাপ্তাই থেকে বাস বা অটোরিকশায় করে মানুষ যাচ্ছে চট্টগ্রামে কিংবা আসছেন কাপ্তাই হয়ে রাঙামাটি। হঠাৎ করেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে উপশহর কাপ্তাই।
রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাঈনুদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন, আমাদের লঞ্চ সার্ভিস চালুর কারণে এখন শহরে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আসছে এবং শহরে যে পণ্যের সংকট তৈরি হয়েছিলো সেটা কমেছে। এটা খুবই আশার একটি দিক। আবার মাত্র একদিনেই যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা লঞ্চের সংখ্যা বাড়িয়েছি, আরো বাড়াবো প্রয়োজনে।
1 Comment
বাংলাদেশ সেনাবাহীনির ইন্জিয়ারিং টিম না থাকার কারনে পাবর্ত্য এলাকার রাস্তা ঘাট আজকে এই অবস্থা ওনারা থাকলে ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতো।