রাঙামাটির লংগদুতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে লংগদুর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটি। এধরনের হামলা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার পরিকল্পনার অংশ বলেও অভিযোগ করা হয়।
সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি শহরের একটি রেস্টুরেন্টে রাঙামাটির লংগদুর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটির আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে রাঙামাটির লংগদুর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ ৬ দফা দাবি জাননো হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, লংগদু ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটির আহ্বায়ক ও খাগড়াছড়ি পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা, সদস্য সচিব ও খাগড়াছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রণিক ত্রিপুরা, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা ও সমাজকর্মী ধীমান খীসা।
সাংবাদিক সম্মেলনে লংগদুর হামলার বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত, লংগদুর হামলার উস্কানিদাতাদের বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা, হামলা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া, পাহাড়িদের নিজের জায়গায় নিরাপদে ও ভীতিমুক্ত পরিবেশে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দেওয়া, দেশের অন্যান্য অংশের মতো গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও জুম্ম জনগণের অংশগ্রহণমূলক প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা, লংগদুতে তিন পাহাড়ি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তদের সম্পূর্ণ সরকারি খরচে পরিপূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদানপূর্বক জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
লংগদু ঘটনা নিয়ে সরকারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করা, সরকারের মধ্যে থেকে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের অপরাধ উন্মোচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ক্ষতিগ্রস্তদের যৌক্তিক শর্ত পূরণপূর্বক যথাযথ ক্ষতিপূরণ সহকারে নিজ জায়গায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা ও ভবিষ্যতে যেন এ ধরণের হামলার শিকার হতে না হয় তার জন্য নিরাপদ ও ভীতিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।