সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, ‘এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকনা কেন তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। অনেকে বাঁচার জন্য জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমাদের সাথে থাকতে পারে তাদেরও কোন ছাড় নাই। ঘ রনির্মাণ হলেই সমস্যা সমাধান হবে না। সমস্যা সমাধানের জন্য এই রকম ঘটনা আর যাতে না হয় সেদিকে সকালের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে রাঙামাটি লংগদু উপজেলায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িদের বসতঘর নির্মাণ কাজ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে শুরু করার পর সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলছেন। বুধবার সকালে স্থানীয় তিনটিলা বৌদ্ধ বিহার এলাকায় এ উপলক্ষ্যে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবির বিষয়ে দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘ভিজিএফ কার্ডের ১ বছর আরো মেয়াদ বৃদ্ধি করার ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা করা এবং যে ১৮ টি দোকান ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই বিষয়ে সরকার যাতে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয় সেই বিষয়েও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করবেন তিনি।
একবছর আগে ২০১৭ সালের ২ জুন রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় এক যুবলীগ নেতাকে হত্যার জেরে ক্ষুদ্ধ বাঙালীদের অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ীদের বসতবাড়ি নির্মাণ কাজের ভিত স্থাপন করা হয়েছে বুধবার। ক্ষতিগ্রস্ত ১৭৬টি বসতঘর নির্মান করার জন্য মোট ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
আলোচনা সভায় লংগদু সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুলিন মিত্র চাকমা আদুর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক মন্ত্রী দীপংকর তালুকদার । বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা হেডম্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেরল চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো: জানে আলম, লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান মো: তোফাজ্জল হোসেনসহ ক্ষক্ষিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয় লোকজন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে বিত্র বিকাশ চাকমা বলেন, ‘যতদ্রুত সম্ভব যাতে ঘরবাড়ি নির্মাণ কাজ যেনো শেষ হয় এবং দোকান ঘরগুরের ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পায় নাই। আমাদের ১ বছরের জন্য ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাউল দিলেও তার সময় শেষ প্রায়, তাই আরো বাড়তি সময় এটি চালু রাখার দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১জুন লংগদু সদর ইউনিয়নের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়ন ভাড়া নিয়ে যাত্রীসহকারে খাগড়াছড়ি যায়। ওই দিন বিকেলে খাগড়াছড়ির চার মাইল এলাকায় তার লাশ পাওয়া যায়। পরের দিন ২ জুন তার লাশ নিয়ে জানাজার জন্য বাইট্টাপাড়া থেকে লংগদু উপজেলা পরিষদ মাঠে রওনা দিলে তিনটিলা পাড়ায় মিছিল আসার পর মিছিল থেকে হঠাৎ করে পাহাড়িদের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয় । এতে ৩টি গ্রামের ২১৩টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
5 Comments
সরকার এবং দীপংকরকে অশেষ ধন্যবাদ।
বাংগালীদেরকি সাহায্য দেয়া হবে না । ****
বা বা! সামনে নির্বাচনতো তাই এক বছর পর নির্মাণ কাজ করে দিচ্ছে দীপংকর বাবু।।
দীপংকর কোন মাদরসুদ, রাংগামাটি কি জনপ্রতিনিধি নেই? দীপংকর আজ পাগলের মত হয়ে গেছে কারণ সামনে নিবাচন, তিনি এমন পাগল হয়েগেছে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে যে কারা ফলক উম্মেষন করতে পারে জানে না।
তোমার কি ক্ষমতা আছে ফলক উন্মোচন করার।লজ্জা লাগে না?