
রাঙামাটির লংগদুতে গত ২ জুন পাহাড়ি বাড়িঘরে অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহ নির্মাণের জন্য ২য় বার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর দরপত্র জমাদানের শেষ সময়েও কেউ দরপত্র জমা না দেওয়া ২য় বার দরপত্র আহ্বান হলো।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় অগ্নিকান্ডের ভস্মীভূত গৃহ নির্মাণের জন্য পিপিআর ২০০৮ইং (সংশোধিত ২০০৯ইং) মোতাবেক ওটিএম পদ্ধতিতে এলজিইডির যে কোন সংস্থা/ প্রতিষ্ঠান যোগ্যতা সম্পূর্ণ দরপত্র দাতাদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাদ্দেক মেহেদী ইমামেরর স্বাক্ষরিত গত ১১ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপিতে জানানো হয়, ৪৪টি বসতঘরের জন্য ৪টি প্যাকেজ করে মোট ১৭৬টি বসতঘর নির্মাণের জন্য ১৫ জানুয়ারি একটি জাতীয় পত্রিকায় দরপত্র প্রকাশ করা হয়। প্রতিটি ঘরের কাজ সমাপ্তির জন্য ১২০ দিন ধার্য করা হয়েছে বিজ্ঞতিতে।
এতে আরো উল্লেখ আছে, ১৭ জানুয়ারি থেকে দরপত্র বিক্রি শুরু হবে। এই দরপত্র পাওয়া যাবে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে, রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলীর এলজিইডির কার্যালয়, লংগদু নির্বাহী প্রকৌশলীর এলজিইডির কার্যালয়ে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা পর্যন্ত বিক্রির শেষ সময় উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞতিতে এবং লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কার্যালয়ে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ টায় দরপত্র খোলা হবে।
পার্বত্য জনসংহতি সমিতির লংগদু উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ‘বর্ষাকাল শেষ হয়েছে অনেক আগে আশায় ছিলাম শীতের আগে বাড়িতে ফিরতে পারবো এখন শীতও চলে যাচ্ছে বাড়ির কোন খবর নাই। একবার দরপত্র পিছিয়েছে এবার যে কেউ দরপত্র কিনবে তারও কোন সিউর না। তাহলে আমাদের কি হবে। আর যদি কেউ দরপত্র কিনেও তার সকল কাজ শেষ করে বসতঘর নির্মাণের জন্য সেই মার্চে শুরু হবে। তাহলে আবারও বর্ষা শুরু’।
লংগদু উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশল এলজিইডি কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশল জুলফিকার আলী জানান, ‘এবার দরপত্র বিজ্ঞতিতে পিপিআর ২০০৮ইং (সংশোধিত ২০০৯ইং) এর আইন মোতাবেক কাজ হবে। আগে কোন রানিং বিলের ব্যবস্থা ছিল না এখন সেটি রাখা হয়েছে। আশা করি ঠিকাদাররা এবার দরপত্র কিনবে’।
উল্লেখ্য, গত ১ জুন লংগদু সদর ইউনিয়নের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নকে খগড়াছড়ি চার মাইল এলাকায় দুবৃর্ত্তার হত্যা করে ফেলে রাখে। তার লাশ নিয়ে ২ জুন বাইট্টপাড়া থেকে লংগদু সদরে জানাজায় আসার পথে পাহাড়ি বাড়িঘরে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। পাহাড়ি তিনটি গ্রামে ১৭৬টি বসতঘর অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এভাবে দরপত্র আহ্বান না করে সরাসরি প্রত্যেক পরিবার পিছু এক কালীন টাকা দিলে তারাতাড়ি নিজেদের বসত ঘর নিজের ইচ্ছে মত দ্রুত ভাবে নির্মাণ করতে পারতো ক্ষতি গ্রস্থরা