চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায় বলেছেন, লংগদুর ঘটনা সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি তথ্য পাইনি। যা কিছু বুঝে উঠতে পেরেছি এই ঘটনাটা একেবারেই না ঘটা অথবা অন্তত যে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে এটা ঠেকানো যেত। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন, তারা যদি এখানে পূর্বে লংগদুতে ৮৯ সনের ৪ঠা মে যে ঘটনা ঘটেছিল সেই ঘটনা থেকে তারা অনুমান করতে পারতো। এখানে একটা গুজবকে কেন্দ্র করে যে পাহাড়ীদের গ্রামে বাঙ্গালীদের দ্বারা আক্রমন হয়েছে। রাঙামাটিতে যেমন দুই/এক বছর আগে যে ঘটনা ঘটেছে সেগুলো থেকে আমরা যদি শিক্ষা নেই তাহলেতো এটা ব্যবস্থা সহজে নেয়া যেতো।’
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় পাহাড়ীদের বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় এসব কথা বলেছে।
চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় শনিবার লংগদুতে পরিদর্শনে এসে প্রথমে উপজেলার মানিকজোড়ছড়া, বাইট্টাপাড়া, তিনটিলার অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পাহাড়ীদের বাড়ী ঘর ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের খোঁজ খবর নেন। সেখানে পাহাড়ী জনসাধারণের প্রতি কাপড়, চাওল, ডাল সহ ত্রাণ বিতরণ করেন।
এরপর তিনি সন্ত্রাসী কর্তৃক নিহত যুবলীগ নেতা নয়নের বাড়ীতেও যান। সেখানে তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং সকলকে সমবেদনা জানান। এসময় স্থানীয় হেডম্যান, কার্বারী ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় আরো বলেছেন, বিশেষ করে যেখানে অতীতের ইতিহাস ইউপি চেয়ারম্যান ও হেডম্যান কুলিন মিত্র উনিতো এবার বাড়ী হারালেন গতবার ৮৯সনেতো মা ও বাড়ী হারিয়েছিলেন। কাজেই সেখান থেকেতো আমাদের রাষ্ট্রের, সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তার ব্যবস্থার প্লান থাকে। পৃথিবীর মধ্যে দূর্যোগ মোকাবেলা করতে বাংলাদেশ কিন্তু শীর্ষে রয়েছে। তাহলে এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের যতখানি দক্ষতা বা প্রজ্ঞার প্রয়োজন ছিল এখানে সেটা তা পরিচয়ে মিলেনা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে। ফলে এই ঘটনায় আমাদের পাহাড়ী গ্রাম নয় সমগ্র দেশের আন্তর্জাতিভাবে ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর যে ভাবমুর্তিতে আঘাত আনছে এটা দুর করে দেওয়া উচিৎ। এই ঘটনা সরকার কিংবা সরকারের বাহিনীতো ভুল করে নাই। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে পরিস্কারভাবে কেউ দায়ী কিনা সেটা সরকারের তরফ থেকে যদি চিহ্নিত করতে না পারেন তাহলেতো সার্বিক পরিস্থিতি সরকারের উপরই বর্তায়। দায় সকল প্রশাসনের উপর চলে যায়। এটা কারো জন্য মঙ্গল জনক না। এই ঘটনাই নয় এই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি সমৃদ্ধি আনতে হয় আমাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস আনতে হবে। সন্দেহ, গুজব এইসব থেকে এই ধরনের ঘটনার জন্ম হয়। কিছু ব্যক্তি যারা সম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটান তাদের জন্য এই ঘটনার জন্য জড়িত নয় তারাও বদনামের শিকার হন। সরকারের উচিত এই ঘটনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা।
3 Comments
এগুলোর বিচার কখন হবে??? নাকি দুই একদিনের মধ্যে ধামাচাপা পড়ে যাবে???
দুয়েকটা বিছিন্ন ঘটনা ঘটেই। এগুলো নিয়ে বেশি ভাবার প্রয়োজন নেই
নয়নের পরিবার যে নয়ন কে হারাল