২০০৪ সালের ২১ অগস্ট আওয়ামীলীগের সন্ত্রাস বিরোধী জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগের শোকসভায় বক্তারা বলেন,
আগস্ট মাস আমাদের শোকের মাস। বাংলার আকাশ যেন এমাসে কালো মেঘে ঢেকে থাকে। আগস্ট মাস জুড়ে বাঙালির মনকে চিরবেদনা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভোররাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একইসঙ্গে হত্যা করা হয় তাঁর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের। ১৫ আগস্টের সেই কালরাতে ছোট্ট রাসেলকেও খুনিরা রেহাই দেয়নি, মানবতা সেদিন থমকে গিয়েছিল। ঠিক ২৯ বছর পর ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় ঘৃণ্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্যেশে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ষড়যন্ত্র ও নীল নকশার আয়োজন যা অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে পরিচালনা করা হয়। এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আগামীর সোনার বাংলা গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান করেন বক্তারা।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হোসেন আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন,জেলাপরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানে আলম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র দাশ,প্রচার সম্পাদক সরোয়ার হোসেন,জেলা যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম,উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও সাবেক উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান সাবরিনা তানিয়া হাওয়া,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াউল হক তালুকদার প্রমূখ। এসময় ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভাশেষে একটি শোকর্যালি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে দলীয় কার্যালয়ে সমাপ্ত হয়।