অবিরাম বর্ষণ ও ভারত থেকে পাহাড় বেয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি অস্বভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৃষ্ট বন্যায় লংগদু উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার পরিবারের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে এসব পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে নিকট আত্মীয় স্বজনের উঁচু বাড়িতে এবং বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আবার অনেকে পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার কাট্টলী বাজারটি একটি হ্রদ বেষ্টিত হওয়ায় বাজারটি পানির ঢেউয়ে ভাঙ্গণের ঝুঁকিতে রয়েছে।
এলাকার জনপ্রতিনিধি সূত্র জানায়, বিভিন্ন এলাকায় চলাচলের রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে ছাত্র ছাত্রী ও জনসাধারণ চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে আটারকছড়া ইউনিয়নের উত্তর ইয়ারিংছড়ি সেনা মৈত্রী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়টি হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে ঐ এলাকার কয়েক শত ছাত্র ছাত্রীর পড়ালেখা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ঐএলাকার স্থানীয় ইয়ারিংছড়ি বাজারের অনেক দোকানপাট ও ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে পানিবন্দীদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোন প্রকার ত্রাণ সমগ্রী পৌঁছানোর খবর পাওয়া যায়নি।
উপজেলার ফোরেরমুখ, সাধুর টিলা, জারুলবাগান, রাঙ্গীপাড়া, বগাচতর, ভাসাইন্যাাদম, কালাপাকুজ্জা, গুলশাখালী, গাঁথাছড়া, মাইনীমুখ সহ সাত ইউনিয়নে কম বেশি বন্যায় ভাসছে। ক্ষেত ফসলের ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য বাঁধেরও ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রশাসন সূত্র জানায়, অতি বৃষ্টি হওয়ায় হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। একারণে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে দরজা খোলা রাখা হয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে পানি কমে যাবে।
1 Comment
sad bonna…ai bar amai dorlo tahole.