বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়েছে। ঘটনাস্থল’সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী’সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত ফোর্স পাঠানো হয়েছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের পাহাড়ের অরণ্যে দূর্গম লতাঝিরি এলাকায় অস্ত্রধারী ১০/১২ সন্ত্রাসীর অবস্থানের খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। দু’পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে কয়েকদফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে টিকতে না পেয়ে অস্ত্রধারীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী। কোনো হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি। গোলাগুলির বিষয়টি স্বীকার করেছে সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হোসেন জানান, লতাঝিরি পাহাড়ে অস্ত্রধারী কিছু সন্ত্রাসী কয়েকদিন ধরে অবস্থান করছিল। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে অভিযানে গেলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সেনা সদস্যদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলি বন্ধ হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থল’সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী’সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত দুই গাড়ী সদস্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রুপটি রুমা উপজেলার পাইন্দু মৌজার আলিচু পাড়া হয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলার লতাঝিরি পাহাড়ের অরণ্যে অবস্থান নেয়। ছয়সাতদিন ধরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা লতাঝিরি পাহাড়ের বিভিন্নস্থানে আনাগোনা করতে দেখাগেছে। সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা মারমা ভাষায় কথা বললেও তারা এই অঞ্চলের নয়। তারা রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলার লোকজন হতে পারে। হঠাৎ করেই পাহাড়ে চাঁদাবাজ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়েছে বলে দাবী স্থানীয়দের।
Previous Articleবিভাগ বদলাতেই নতুন ভর্তি ফি আব্দুল আলী স্কুলে !
Next Article বান্দরবানে বিএনপির মানববন্ধন,আটক ২