এক বছর আগে রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কাউন্সিল পন্ড হয়ে যাওয়ার পর গত ৩৬৫ দিনেও সংগঠনটির কলেজ কমিটি গঠিত না হওয়ায় নিজের হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদায়ী কমিটির সাধারন সম্পাদক আহমেদ ইমতিয়াজ রিয়াদ।
সোমবার রাতে ফেসবুকে নিজের ওয়ালে পোস্ট করা এক স্ট্যাটাসে নিজের হতাশা ক্ষোভ বেদনার কথা জানিয়েছেন এই ছাত্রনেতা। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন,সাধারন সম্পাদক প্রকাশ চাকমা,বিদায়ী কলেজ সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাপ্পাকে ট্যাগ করা এই স্ট্যাটাসে রিয়াদ যা লিখেছেন তা হলো-
‘ঠিক এক বছর আগে ২৭-০৭-২০১৯ ইং তারিখে সংগঠন কে গতিশীল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাঙ্গামাটি জেলা শাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট রাঙ্গামাটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ এর বিপ্লবী সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন ( Abdul Jabbar Sujan) ভাই প্রথম অধিবেশন শেষে তৎকালীন কলেজ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে এবং মধ্যাহ্নভোজ সম্পূর্ণ করার পরে দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র মোতাবেক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করার আশ্বাস দিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা ( Prakash Chakma) দাদা সহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মেলন কেন্দ্র ত্যাগ করেন। সেই যে মধ্যাহ্নভোজ করতে গেলেন উনারা আর ফিরে আসেননি। আজ এক বছর হয়ে গেলো উনাদের মধ্যাহ্নভোজ শেষ হয়নি এবং কাউন্সিলরদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করানোর পরেও দ্বিতীয় অধিবেশন সম্পূর্ণ না করে লাঞ্ছিত করেছেন।
বক্তৃতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে লম্বা লম্বা নীতির বাক্য সবাই শুনাতে পারে কিন্তু কথার সাথে কাজের মিল রাখার সক্ষমতা সবার থাকেনা। আর যাদের সক্ষমতা নাই তাদের কে ব্যর্থ বলে।
দীর্ঘ এক বছর কমিটি না দিয়ে আপনারা দেখিয়ে দিলেন কিভাবে নীতির উপর দাঁড়িয়ে রাজনীতিকে রাজ করতে হয়। নীতির বুকে পা রেখে রাজ করার রাজনীতিতে সারাজীবন রাজত্ব কেউ করতে পারে নাই। আপনারাও পারবেন না। একদিন আপনারাও সাবেক হবেন…. হতে হবে। এখনো নিজেদের সংশোধন করে সাবেক হওয়ার পূর্বে এমন কিছু করেন সাবেক হওয়ার পরেও কর্মীরা আপনাদের যেন ঘৃনা না করে ভালোবাসে। নেতাকর্মীদের ঘৃনার পাত্র না হয়ে হৃদয়ে জায়গা করে নিন।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সম্মেলনে আলোচনা সভার পর কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর আগে হলরুম ত্যাগ করেন জেলা সভাপতি ও সম্পাদক। পরে তারা কলেজ ছাত্রলীগের সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপর গত এক বছরেও সম্মেলন বা নতুন কমিটি হয়নি আর। বরং পাল্টা জেলা কমিটি গঠন,কেন্দ্র কর্তৃৃক বহিষ্কার,পৃথক পৃথক কর্মসূচী পালনসহ নানান বিরোধে আর ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচী পালন করতে খুব একটা দেখা যায়নি রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগকে। জেলার বিরোধ ছড়িয়েছে উপজেলাতেও। এমনকি জেলা মর্যাদার রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে জড়িয়েছে বিরোধে।