রাঙামাটির ৪ করোনা রোগি আদৌ করোনা আক্রান্ত কিনা এনিয়ে অফলাইন অনলাইনে চলছে নানান আলোচনা। তবে সব আলোচনা সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে রাঙামাটির সিভিল সার্জন অফিসের করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডাঃ মোস্তফা কামাল বলেছেন, ‘ রিপোর্ট ভুল হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই’। যখন আক্রান্তদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে,তখন তারা পজিটিভই ছিলেন,যখন নেগেটিভ এসেছে,তখন হয়তো তারা রোগমুক্ত হয়েছেন। কারণ মাঝখানের সময়টার মধ্যে যে পার্থক্য ও সময়,সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।’
‘নমুনা সংগ্রহে কোন ভুল হয়েছে কিনা’-এমন প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, নমুনা সংগ্রহে ভুল হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসতো না,নেগেটিভই আসতো। আর নমুনা সংগ্রহে ভুল হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই,কারণ এটি খুব সহজ একটি প্রক্রিয়া,আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা যা খুব স্বাভাবিকভাবেই করছেন।’
ডা: মোস্তফা বলেন-‘রাঙামাটিতে ৪ জন কোভিড আক্রান্ত রোগির প্রথম নমুনা নেওয়া হয় ২৯ এপ্রিল। দ্বিতীয় নমুনা নেওয়া হয় ৭ মে। অনেকেই বলছেন প্রথমবার পজিটিভ আসার পর দ্বিতীয়বার কেন নেগেটিভ আসলো? রিপোর্ট কি ভুল কিনা? রিপোর্ট ভুল নয়। প্রথম এবং দ্বিতীয় নমুনার মাঝে ব্যবধান ৮ দিন। এই ৮ দিনে রোগী সুস্থ হয়ে যেতে পারে। এই জন্যই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।’
এই চিকিৎসক পাহাড়াটোয়েন্টিফোর ডট কমকে বলেন- এই ধরণের রিপোর্টের সত্যতা বরাবরই ৯৫%। বাকিটা মিরাকল। রাঙামাটির এই চারজনের প্রায় সবারই উপসর্গগুলো করোনা রোগির মতোই ছিলো। তাদের ২৯ তারিখ নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এর আগে থেকেই তারা আক্রান্ত হতে পারেন,স্বাভাবিকভাবেই যখন দ্বিতীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়,তখন তারা সুস্থ হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনাই।’
কিন্তু তৃতীয় পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তারা করোনামুক্ত এটা বলা যাবে না জানিয়ে এই তরুণ চিকিৎসক বলেন-‘ তাদের এখনই করোনা মুক্ত বলা যাবে না। ৩য় নমুনার ফলাফল এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’