রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পালনের দাবি জানিয়ে ১৭ ডিসেম্বর রাঙামাটি হানাদারমুক্ত দিবস পালন করেছে রাঙামাটি জেলা ছাত্র ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিবসটি উপলক্ষে রাঙামাটিতে বীরশ্রেষ্টের স্মৃতিস্তম্ভে বীর শহীদদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করে সংগঠনটি।
পরে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সুজন বড়ুয়া’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি এম জিসান বখতেয়ার, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও খেলাঘর আসর রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক সৈকত রঞ্জন চৌধুরী, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মিশু দে, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক তুর্য দত্ত ও রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক অয়ন চক্রবর্তী প্রমুখ। এসময় গণমাধ্যমকর্মী শংকর হোড়, জেলা যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বিশ্বাসসহ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকহানাদারবাহিনীর কাছ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন ভূখন্ড। কিন্তু বিজয়ের একদিন পর পার্বত্য চট্টগ্রামের এই রাঙামাটি জেলা হানাদারমুক্ত হয়েছিল। বিগত বছরগুলো থেকে ছাত্র ইউনিয়ন নিজেরা দিবসটি পালনের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পালনের দাবি জানিয়ে আসছে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘আমরা ১৯৭১ সালে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম ঠিকই। কিন্তু এখনো সেই কাঙ্ক্ষিত বিজয় আজও অর্জন করতে পারিনি। আজ মৌলবাদী, উগ্র সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠীর আস্ফালন প্রমাণ করে, দেশে এখনো পাকিস্তানি দোসররা সজাগ রয়েছে। তারা নানাভাবে দেশকে একটি মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার পায়তারা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে। অথচ ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দিনদিন এই মৌলবাদী অপশক্তিরা স্বাধীনতাবিরোধীদের এজেন্টা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’