স্থাপনের মাত্র ১৩ দিনের মাথায় রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) নামফলক উপড়ে ফেললো দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত স্থানে সাইনবোর্ডটি আর দেখা যাচ্ছে না। গত ৪ নভেম্বর মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ ভূমিতে নামফলক উন্মোচন করলেও ১৭ নভেম্বর সেই নামফলকটি আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগে গত ৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা পিলারও উপড়ে ফেলা হয়।
নামফলক তুলে ফেলার বিষয়ে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ঢাকায় আছি, এই বিষয়ে আমাকে কেউ অবহিত করেননি। বিষয়টি আমি মাত্রই শুনলাম। তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ফাঁড়ি অথবা অন্য কিছু করা যায় কিনা সেটা ভাববার সময় এসেছে’।
রাঙামাটি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এস.এম শফি কামাল বলেন, ‘বিষয়টি আমি মাত্র জানলাম। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে আছেন তাদের খোঁজ খবর রাখা দরকার, তারা রাখছেন কিনা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। আমি আসার পর থেকে একটি বিষয় খেয়াল করেছি যারা এই অঞ্চলের উন্নয়ন চায় না আমার মনে হয় তারাই এই কাজ করেছে। তিনি আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা সভায় এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে এবং সেখানে কোন ফাঁড়ি বসানো যায় কিনা সেই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে’।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। জানালে ব্যবস্থা নিব’।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু করলেও দীর্ঘ জটিলতা শেষে ও পার্বত্যাঞ্চলের আঞ্চলিক দলগুলোর বাধা সত্ত্বেও ২০১৫ সালে শহরের একটি বিদ্যালয়ে দুইটি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম। গত ৪ নভেম্বর প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরুর দুই বছর পর রাঙামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভূমিস্বত্ত্ব হস্তান্তর করা হয়। ভূমিস্বত্ত্ব হস্তান্তর প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান। ভূমিস্বত্ত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে নির্ধারিত স্থানে নামফলক বসানো হলেও ১৩ দিনের মাথায় দুর্বৃত্তরা সেটি উপড়ে ফেলে।
এরা কারা শুরু থেকে এর বিরোধ করেছে এখন আবার তারা সেই দায়িত্ববান ব্যক্তি!!!