জিয়াউল জিয়া ॥
বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য রাত ৮টার পর সারা দেশের দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান, কাঁচা বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। আর সেই নির্দেশনা পালন করতে প্রশাসন পক্ষ থেকে তৎপরতা দেখা গেছে।
শনিবার রাতে শহরের বনরুপা, রির্জাভ বাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় জেলা প্রশাসন হতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কুমার জোয়ার্দার।
এসময় মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, প্রতিদিন শহরের জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকী সব সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রাত আটটার পর বন্ধ থাকবে। আমরা দেখতে পারছি আমরা আসার সাথে সাথে সব বন্ধ করলেও আমরা চলে যাওয়ার পর আবারও কেউ কেউ দোকান খুলছেন। জরিমানা না করে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি আমরা। তারপরও মানুষ সচেতন না হলে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হবো। তিনি আরও বলেন, যেসব দোকান খোলা রাখা যাবে তারা যেন অতিরিক্ত লাইট না জ্বালিয়ে রাখেন সেটিও তদারকি করছি আমরা।
তবে শিডিউল করে লোডশেডিং দেয়ার যে দির্শেনা ছিল তার অনেকটাই পালন হচ্ছে না শহরে। আবার শহরের তুলনায় উপজেলাগুলোর অবস্থা আরও বেশি খারাপ। গরম ও লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতি। স্থানীয় ছোট ছোট প্রতিষ্ঠাগুলোতে বেড়েছে ব্যায় কমেছে উৎপাদন। দিনে ৪-৫ বার লোডশেডিং হচ্ছে। রাতের লোডশেডিং প্রচন্ড গরমে ঘুম নেই অনেকের।
এই বিষয়ে রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান বলেন, গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ না পেলে আমি কিভাবে দিব। রাতে শহরে ২২ থেকে ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। চাহিদা মত পেলে আমরা তো আর ইচ্ছে করে বন্ধ করি না। আমরা চাহিদা মত বিদ্যুৎ দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।