রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলায় হাজারো জনসমারোহের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গ বন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্টার” এ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে স্বীকৃতি লাভ করায় শনিবার সকালে সারা দেশের ন্যায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আনন্দ শোভা যাত্রা রাজস্থলী বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হয়।
শোভাযাত্রাটি বাস স্ট্যান্ড হ্নারামুখ বাজার ঘুড়ে উপজেলা গণমিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুশফিকুর রহমান, প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উথিনসিন মারমা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ক্রয়সাউ মারমা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিরার পরিকল্পা কর্মকর্তা ডাঃ রুইহ্লাঅং মারমা,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উবাচ মারমা, এম পি প্রতিনিধি সুভাষ চন্দ্র বাচ্চু, মহিলা এম পি প্রতিনিধি লংবতি ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রাখাল চন্দ্র দাশ, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ নুরুন্নবী খন্দকার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসিবুল হাসান, রাজস্থলী কলেজের অধ্যক্ষ উপানন্দ দাশ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পুচিংমং মারমা, ইউপি চেয়ারম্যান সুশান্ত প্রসাদ তঞ্চঙ্গ্যা, উথান মারমা, ঞোমং মারমা প্রমূখ।
রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উথিনসিন মারমা বলেন ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতা অর্জনে প্রেরনা হিসেবে কাজ করেছিল। তিনি আরো বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম যদি এদেশে না হত, তাহলে আমরা এই স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখতে পেতাম না। বঙ্গবন্ধুর জন্মের পর থেকেই তিনি অধিকার হারা বাঙ্গালী জাতিকে মুক্ত করার সংকল্পে সমাজনীতি ও রাজনীতি পরিচালনা করেছিলেন। সভা ও আনন্দ শোভা যাত্রায় উপজেলার স্ব-স্ব বিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষিকা, সাংবাদিক সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। চিত্রাংকন, বক্তব্য প্রদান প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন কারিদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।